ঈদের আমেজ শেষে আবারো কর্মব্যাস্ত হয়ে পড়েছে রাজধানীসহ সারা দেশ। ইট-পাথরের ধুসর শহরে এসেছে প্রাণের স্পন্দন। তবে দেশের মানুষ যে খুব একটা ভালো আছে, একথা বলা যায় না। হত্যা, গুম, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষ ভালো নেই। একদিকে বিরোধীদলের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পূণর্বহালের দাবীতে অনঢ় অবস্থান, অন্যদিকে সরকারের একগুঁয়েমি দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে ক্রমেই অস্থিতিশীল করে তুলছে। এ অবস্থায় গঠনমূলক সংলাপের মাধ্যমেই চলমান অস্থিরতার সমাধান চায় দেশের সাধারণ মানুষ।
দেশের শিক্ষাঙ্গনগুলোর অবস্থাও ভালো নয়। দেশের প্রায় সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন অনার্স ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে, শিক্ষার্থীরা যখন পড়াশুনায় ব্যস্ত। তখনই বিভিন্ন দাবী-দাওয়াকে কেন্দ্র করে বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাঙ্গনে পরিবেশ বিপর্যস্ত। মেডিক্যালের শিক্ষার্থীদের নিয়ে সরকারের কাণ্ডজ্ঞানহীন সিদ্ধান্ত ও পরে তা প্রত্যাহারের নাটকে ভিকটিম হয়েছে মেধাবী শিক্ষার্থীরা।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সেপ্টেম্বর মাসটি অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ। ২০০১ সালের, ১১ই সেপ্টেম্বর ধ্বংশ করে দেওয়া হয় বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী স্থাপনা টুইন টাওয়ার। হামলা করা হয়, সর্বচ্চো সামরিক ঘাঁটি পেন্টাগনে। এই ঘটনায় পুরো আমেরিকা জুড়েই যেন তৈরি হয় এক ধরণের ইসলাম ফোবিয়া। এরই জের ধরে বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসী নিধনের নামে চলেছে মুসলিম নিধন। বিধ্বস্ত হয়েছে আফগানিস্তান, ইরাক। আমেরিকা ও তার মিত্রদের তথাকথিত সন্ত্রাসের তালিকায় রয়েছে আরো কিছু মুসলিম দেশ। শান্তিকামী মানুষ আর দেখতে চায় না রক্ত নিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার এই নাটক।