কেয়ামতের আর বেশী বাকি নেই। খুচরা এ্যাকশন শুরু হয়ে গেছে। চুড়ান্ত অবস্থা কবে এবং কখন শুরু হবে তা আল্লাহ ভাল জানেন। তবে আলামত যা দেখা যাচ্ছে তাতে মনটা যেন বলছে, আর বেশী দেরী নেই, মানুষের আচার-আচরণ, চিন্তা-চেতনা, মন-মানস তথা চারিত্রিক পরিবর্তন যেভাবে দ্রুত ঘটছে, সেই পরিবর্তিত চরিত্রের সংগে কেয়ামতের আলামতগুলো বীজ গণিতের ফর্মূলার মত মিলে যাচ্ছে। প্রাকৃতিক জগতে যে ওলট পালট অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত হচ্ছে তাও রোজ-কেয়ামতের সঠিক পূর্বাভাস বলে গণ্য করা যায়।
সুতরাং যে যেখানে যে অবস্তায় যে কাজ নিয়ে আছেন, তিনি নর না নারী , বাদশাহ না ফকির, শাসক না শাসিত, সাদা না কালো, ধনী না গরীব, শক্তিমান না দূর্বল, শিতি না অশিতি অর্থাৎ জাগতিক পরিচিতি যাই থাক না কেন সকলেরই হুশিয়ার হওয়ার সময় এসে গেছে। লাফালাফি-দাপাদাপি বন্ধ করুন। লাফ দিয়ে এই সীমাহীন শূণ্যতার কতটুকু উচ্চে উঠতে পারবেন? দেহের সকল শক্তি দিয়ে লাথি মেরে কতটুকু জমিনের কত ইঞ্চি দাবিয়ে দিতে পারবেন শুনি? লাফালাফি-দাপাদাপি যে যতই করুন না কেন, কোন মর্দের বাহাদুরী কতটুকু তা বহুবার দেখা গেছে। কোটি কোটি মানুষের শান্ত কলিজায় যিনি কম্পন সৃষ্টি করতে পারেন, সেই ব্যক্তিকেও দেখা গেছে যে , সামান্য একটা ধাককায় চিরদিনের জন্য চিৎহয়ে পড়ে থাকতে। অতএব বাহাদুরী করার আগে যদি প্রত্যেকে নিজ নিজ দেহটাকে দেখে নিতে পারেন তাহলে দম্ভ-ভরা বুকটা অস্বাভাবিকভাবে কখনো ফুলে উঠবে না।
অবস্থা কেমন কেমন যেন ঠেকছে। সময় থাকতে অট্টহাসিকে মুচকি হাসিতে সীমিত করে ফেলুন ,একটানা কান্নার সময় আসার আগেই হি-হি হে-হে করার অভ্যাস ত্যাগের অভ্যাস করুন। মানব চরিত্রে কেয়ামতের আলামত শুরু হয়ে গেছে এ সম্পর্কে হাদীস শরীফে ছোট ছোট আলামত গুলো এভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। লোকেরা ওয়াকফ সম্পত্তিকে নিজের সম্পত্তির মত মনে করে ভোগ করবে। জাকাত দেয়াকে দন্ডস্বরুপ মনে করবে । আমানতের মালকে নিজের মালের মত মনে করে হস্তপে করব্।ে পুরুষরা স্ত্রীর তাবেদারী করবে। মা-বাপকে পর মনে করতে থাকবে এবং পরকে আপন ভাবতে থাকবে। দ্বীনের ইলিম দুনিয়ার অর্থ উপার্জনের জন্য শিা করবে। চরিত্রহীনরাই দেশ শাসনে আসবে। অযোগ্যরা বড় বড় দায়িত্ব পালনের জন্য বড় বড় পদ দখল করে নেবে। জুলুমের ভয়ে জালিমকে তাজীম করবে। নাচ-গানের প্রসার ঘটবে, বেহায়ামীপনা ও জ্বেনাকারী বৃদ্ধি পাবে। বাদ্য বাজনার প্রচলন খুব বেশি হবে। নেক লোকদের আহাম্মক , বোকা, পশ্চাদপদ বলে পাপীরা আখ্যায়িত করবে। এ সব আলামত যখন পাওয়া যাবে তখন মনে করতে হবে যে, কেয়ামত নিকটবর্তী। এ অবস্থা সৃষ্টি হলে তখন আগুনে বাতাস প্রবাহিত হবে। পৃথিবীর গর্ভে লোক হারিয়ে যাবে। আকাশ থেকে প্রস্তর বর্ষিত হবে। কিছু লোকের আকৃতি-প্রকৃতি পরিবর্তিত হয়ে যাবে। দ্বীনের এলম চর্চা হ্রাস পাবে। মিথ্যা বলাকে বুদ্ধিমতত্তা বলে মনে করা হবে। মিথ্যা ও অন্যায় আইন-কানুন জারি হবে।
এবার চিন্তা করে দেখুন, আলামত শুরু হয়ে গেছে কিনা। ওয়াকফ সম্পত্তি ক্রমশ: হাত ছাড়া হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে রীতিমত কাড়াকাড়ি শুরু হয়ে গেছে। আপনি যে জেলার বাসিন্দা হোন না কেন, একটুখানি খোঁজ খবর নিলে এমন বেহাত ওয়াকফ সম্পত্তির সন্ধান অবশ্যই পাবেন। জাকাত দেয়াকে অনেকেই নিজেদের উপর জুলুম মনে করেন। অনেকে জাকাতই দেনা না। আবার অনেকে জাকাত দেন তবে কাড়া-নাকাড়া বাজিয়ে অর্থ্যাৎ প্রচার প্রপাগান্ডা করে। জাকাত দেয়া যাদের উপর ফরজ তাদের শতকরা পাচঁভাগ সঠিকভাবে এবাদত জ্ঞান করে জাকাত জামাইর টাকা শ্বশুর হজম করে নিচ্ছে, এতিমের আমানত খেয়ানত করা তো এখন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। শ্বশুরের টাকা জামাই মেরে নিচ্ছে , জামাইর টাকা শ্বশুরে হজম করে নিচ্ছে, এতিমের আমানত সবলেরা লুটে -পুঠে খাচ্ছে কৃষককে ঋণ দানের আমানত টাকা ব্যাংকের একশ্রেণীর লোকজন ষড়যন্ত্র করে আত্মসাত করছে, আজ অমুক ব্যাংকের ক্যাশিয়ার কাল তমুক ব্যাংকের ক্যাশিয়ার , পরশু আবার অন্য ব্যাংকের ক্যাশিয়ার মোটা অংকের ক্যাশ নিয়ে উদাও হয়ে যাচ্ছে। এসব খবর প্রায় প্রতিদিনের কাগজে আমরা পাঠ করছি। স্ত্রৈণ পুরুষের সংখ্যা ক্রমশ: বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্ত্রীর বাপের টাকায় অনেক জোয়ান মর্দ গরু-মহিষের মত বিক্রি হয়ে স্ত্রীর পরমাবর্দারে পরিণত হচ্ছে। যৌতুকের ভারী বোঝা পিঠে নিয়ে বহু পুরুষ স্ত্রীর কাছে আজ্ঞাবহ দাসের মত জীবন-যাপন করছে। শহরে বন্দরে বিলাস-বহুল বিপণী বিতানে স্ত্রী ভ্যানিটি ব্যাগ হাতে নিয়ে আগে আগে হাটেন আর পিছনে পিছনে স্বামী নামক কেনা বান্দা কেমন সুশীল বালকের মত শুধু স্ত্রীকে অনুসরণ করেন। যৌতুকের যত প্রসার ঘটছে স্ত্রী তাবেদার স্বামীর সংখ্যা তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। মা-বাপকে পর মনে করার মত সন্তানের সংখ্যা এখন বেশূমার। বিয়ের আগে যেমন তেমন; কিন্তু যৌতুকের জোয়াল কাধেঁ নিয়ে বিয়ে করার পর প্রায় সন্তাননেরাই আপন বাবা পর হয়ে শ্বশুর বাবা আপন হয়ে যায়। আপন মা পাত্তা না পেলেও শ্বাশুড়ীর মার কদমবুচির বারবার করতে জামাই বাবাজীর মন ব্যাকুল হয়ে ওঠে। আজকাল অনেক মা বাবার লায়েক সন্তানকে দেখা যাচ্ছে যে, বাপের বাড়ী ত্যাগ করে শ্বশুরবাড়ী গিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করে দিয়েছেন। আপন ভাইকে দূরে ঠেলে দিয়ে বউয়ের ভাইকে সহোদরের জায়গায় বসাতে অনেককে দেখা যাচ্ছে। নিজেরন ভাই কলেজের মাস মাহিনা দিতে না পারার কারণে লেখা পড়া ত্যাগ করলেও শালা সাহেবের হোস্টেলের চার্জ পরিশোধে কখনো বিলম্ব হয় না। দ্বীনের ইলিম দুনিয়ার অর্থ উপার্জনে অনেক েেত্র ব্যবহার হচ্ছে। দেশ শাসনে চরিত্রহীনদের প্রতিযোগিতা দেশে দেশে যে চলছে তা বোধ হয় ব্যাখ্যা করে বলার প্রয়োজন নেই। মামা ভাগিনা, চাচা ভাতিজা, আর শালা দুলাভাইর সম্পর্কের সাকো পেরিয়ে স্বজন-প্রীতির মাদুলী গলায় ঝুলিয়ে গর্দভ বড় বড় পদ দখল করতে সম হচ্ছে। আজকাল এসব কোন লুকোচুরি ব্যাপার নয়। জুলুমের ভয়ে জালিমের তাজিম করা আজকাল রেওয়াজ হয়ে গেছে। উপায় তো নেই, প্রত্যেকের গর্দানের উপর মাথা তো একটাই। ইনসাফের রশি ঢিলা হয়ে পড়লে জালিমদের দোরাত্মা বাড়ে। উদ্যত পিস্তলের সামনে পন্ডিতের কলম খুবই অসহায়। নেশাখোরদের সংখ্যাও বেড়ে চলছে। দেশী-বিদেশী মদ, গাজা, ভাঙ থেকে শুরু করে নিচের দিকে বিড়ি সিগারেট সহ নেশাখোরদের অবস্থা যা তাতে অবাক হতে হয়। সংখ্যাটা প্রতি বছরই শুধু বাড়ছে আর বাড়ছে। নাচ-গান, বাদ্য-বাজনার প্রসারও ক্রমশ: ব্যাপ্তির দিকে। এসবকে সংস্কৃতি চর্চা নাম দিয়ে প্রতি গ্রামে প্রতি স্কুলে ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে। বেহায়ামীপনা তো আধুনিকতার ভূষণে পরিণত হয়েছে, জ্বেনাকারের দল ক্রমশ: ভারী হচ্ছে। পশ্চিমা দুনিয়ায় কুমারী ষোড়শী ডুমুরের ফুল। উন্নয়নশীল দেশেও জোর হাওয়া লাগছে। এখন সামাল সামাল অবস্থা। সর্বশেষ কথা হলো, যারা দ্বীনের পথের পথিক হওয়াকে পছন্দ করেছে তাদেরকে শুধু বোকা বা আহাম্মক বলা হচেছ না বরং তারা পশ্চাদপদ, প্রতিক্রিয়াশীল, প্রাগৈতিহাসিক, সেকেলে, মধ্যযুগীয় ইত্যাদি হরদম বলা হচ্ছে। সুতরাং এসব আলামত তো শুরু হয়ে বেশ অগ্রসর হয়ে গেছে। উত্তপ্ত বাতাস প্রবাহিত হয়ে খরায় জ্বলছে স্পেন, অষ্ট্রেলিয়া, ভারত, জাপান, ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়া সহ বহু দেশ। ভুমিকম্প হওয়ার কারণে এই দশকে ইরান, ইকুয়েডর, রোমানিয়া ও জাপানসহ অনেক দেশেরই লোকালয় পৃথিবীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। লোকের আকৃতি প্রকৃতির পরিবর্তনও লনীয়। প্রায়ই শুনা যাচ্ছে এবং খবরের কাগজে সংবাদ বের হচ্ছে যে, অমুক নারী এখন পুরুষ হয়ে গেছে আর অমুক পুরুষ নারী হয়ে গেছে। দুই দশক আগেও এমন সংবাদ শুনা যায়নি, কিন্তু আজকাল পরিবর্র্তিত আকৃতি প্রকৃতির নারী পুরুষও দেখা যাচেছ। আলামতগুলে হুবহু মিলে যাওয়ার পরও যাদের মনে কোন ভাবান্তর ঘটবে না, তারা দাজ্জালের শিষ্যত্ব গ্রহনের উপযুক্ত বলে অবশ্যই বিবেচিত হবে। তবে এসব কথায় যদি তাদের বিশ্বাস থাকে।
সুতরাং যে যেখানে যে অবস্তায় যে কাজ নিয়ে আছেন, তিনি নর না নারী , বাদশাহ না ফকির, শাসক না শাসিত, সাদা না কালো, ধনী না গরীব, শক্তিমান না দূর্বল, শিতি না অশিতি অর্থাৎ জাগতিক পরিচিতি যাই থাক না কেন সকলেরই হুশিয়ার হওয়ার সময় এসে গেছে। লাফালাফি-দাপাদাপি বন্ধ করুন। লাফ দিয়ে এই সীমাহীন শূণ্যতার কতটুকু উচ্চে উঠতে পারবেন? দেহের সকল শক্তি দিয়ে লাথি মেরে কতটুকু জমিনের কত ইঞ্চি দাবিয়ে দিতে পারবেন শুনি? লাফালাফি-দাপাদাপি যে যতই করুন না কেন, কোন মর্দের বাহাদুরী কতটুকু তা বহুবার দেখা গেছে। কোটি কোটি মানুষের শান্ত কলিজায় যিনি কম্পন সৃষ্টি করতে পারেন, সেই ব্যক্তিকেও দেখা গেছে যে , সামান্য একটা ধাককায় চিরদিনের জন্য চিৎহয়ে পড়ে থাকতে। অতএব বাহাদুরী করার আগে যদি প্রত্যেকে নিজ নিজ দেহটাকে দেখে নিতে পারেন তাহলে দম্ভ-ভরা বুকটা অস্বাভাবিকভাবে কখনো ফুলে উঠবে না।
অবস্থা কেমন কেমন যেন ঠেকছে। সময় থাকতে অট্টহাসিকে মুচকি হাসিতে সীমিত করে ফেলুন ,একটানা কান্নার সময় আসার আগেই হি-হি হে-হে করার অভ্যাস ত্যাগের অভ্যাস করুন। মানব চরিত্রে কেয়ামতের আলামত শুরু হয়ে গেছে এ সম্পর্কে হাদীস শরীফে ছোট ছোট আলামত গুলো এভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। লোকেরা ওয়াকফ সম্পত্তিকে নিজের সম্পত্তির মত মনে করে ভোগ করবে। জাকাত দেয়াকে দন্ডস্বরুপ মনে করবে । আমানতের মালকে নিজের মালের মত মনে করে হস্তপে করব্।ে পুরুষরা স্ত্রীর তাবেদারী করবে। মা-বাপকে পর মনে করতে থাকবে এবং পরকে আপন ভাবতে থাকবে। দ্বীনের ইলিম দুনিয়ার অর্থ উপার্জনের জন্য শিা করবে। চরিত্রহীনরাই দেশ শাসনে আসবে। অযোগ্যরা বড় বড় দায়িত্ব পালনের জন্য বড় বড় পদ দখল করে নেবে। জুলুমের ভয়ে জালিমকে তাজীম করবে। নাচ-গানের প্রসার ঘটবে, বেহায়ামীপনা ও জ্বেনাকারী বৃদ্ধি পাবে। বাদ্য বাজনার প্রচলন খুব বেশি হবে। নেক লোকদের আহাম্মক , বোকা, পশ্চাদপদ বলে পাপীরা আখ্যায়িত করবে। এ সব আলামত যখন পাওয়া যাবে তখন মনে করতে হবে যে, কেয়ামত নিকটবর্তী। এ অবস্থা সৃষ্টি হলে তখন আগুনে বাতাস প্রবাহিত হবে। পৃথিবীর গর্ভে লোক হারিয়ে যাবে। আকাশ থেকে প্রস্তর বর্ষিত হবে। কিছু লোকের আকৃতি-প্রকৃতি পরিবর্তিত হয়ে যাবে। দ্বীনের এলম চর্চা হ্রাস পাবে। মিথ্যা বলাকে বুদ্ধিমতত্তা বলে মনে করা হবে। মিথ্যা ও অন্যায় আইন-কানুন জারি হবে।
এবার চিন্তা করে দেখুন, আলামত শুরু হয়ে গেছে কিনা। ওয়াকফ সম্পত্তি ক্রমশ: হাত ছাড়া হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে রীতিমত কাড়াকাড়ি শুরু হয়ে গেছে। আপনি যে জেলার বাসিন্দা হোন না কেন, একটুখানি খোঁজ খবর নিলে এমন বেহাত ওয়াকফ সম্পত্তির সন্ধান অবশ্যই পাবেন। জাকাত দেয়াকে অনেকেই নিজেদের উপর জুলুম মনে করেন। অনেকে জাকাতই দেনা না। আবার অনেকে জাকাত দেন তবে কাড়া-নাকাড়া বাজিয়ে অর্থ্যাৎ প্রচার প্রপাগান্ডা করে। জাকাত দেয়া যাদের উপর ফরজ তাদের শতকরা পাচঁভাগ সঠিকভাবে এবাদত জ্ঞান করে জাকাত জামাইর টাকা শ্বশুর হজম করে নিচ্ছে, এতিমের আমানত খেয়ানত করা তো এখন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। শ্বশুরের টাকা জামাই মেরে নিচ্ছে , জামাইর টাকা শ্বশুরে হজম করে নিচ্ছে, এতিমের আমানত সবলেরা লুটে -পুঠে খাচ্ছে কৃষককে ঋণ দানের আমানত টাকা ব্যাংকের একশ্রেণীর লোকজন ষড়যন্ত্র করে আত্মসাত করছে, আজ অমুক ব্যাংকের ক্যাশিয়ার কাল তমুক ব্যাংকের ক্যাশিয়ার , পরশু আবার অন্য ব্যাংকের ক্যাশিয়ার মোটা অংকের ক্যাশ নিয়ে উদাও হয়ে যাচ্ছে। এসব খবর প্রায় প্রতিদিনের কাগজে আমরা পাঠ করছি। স্ত্রৈণ পুরুষের সংখ্যা ক্রমশ: বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্ত্রীর বাপের টাকায় অনেক জোয়ান মর্দ গরু-মহিষের মত বিক্রি হয়ে স্ত্রীর পরমাবর্দারে পরিণত হচ্ছে। যৌতুকের ভারী বোঝা পিঠে নিয়ে বহু পুরুষ স্ত্রীর কাছে আজ্ঞাবহ দাসের মত জীবন-যাপন করছে। শহরে বন্দরে বিলাস-বহুল বিপণী বিতানে স্ত্রী ভ্যানিটি ব্যাগ হাতে নিয়ে আগে আগে হাটেন আর পিছনে পিছনে স্বামী নামক কেনা বান্দা কেমন সুশীল বালকের মত শুধু স্ত্রীকে অনুসরণ করেন। যৌতুকের যত প্রসার ঘটছে স্ত্রী তাবেদার স্বামীর সংখ্যা তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। মা-বাপকে পর মনে করার মত সন্তানের সংখ্যা এখন বেশূমার। বিয়ের আগে যেমন তেমন; কিন্তু যৌতুকের জোয়াল কাধেঁ নিয়ে বিয়ে করার পর প্রায় সন্তাননেরাই আপন বাবা পর হয়ে শ্বশুর বাবা আপন হয়ে যায়। আপন মা পাত্তা না পেলেও শ্বাশুড়ীর মার কদমবুচির বারবার করতে জামাই বাবাজীর মন ব্যাকুল হয়ে ওঠে। আজকাল অনেক মা বাবার লায়েক সন্তানকে দেখা যাচ্ছে যে, বাপের বাড়ী ত্যাগ করে শ্বশুরবাড়ী গিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করে দিয়েছেন। আপন ভাইকে দূরে ঠেলে দিয়ে বউয়ের ভাইকে সহোদরের জায়গায় বসাতে অনেককে দেখা যাচ্ছে। নিজেরন ভাই কলেজের মাস মাহিনা দিতে না পারার কারণে লেখা পড়া ত্যাগ করলেও শালা সাহেবের হোস্টেলের চার্জ পরিশোধে কখনো বিলম্ব হয় না। দ্বীনের ইলিম দুনিয়ার অর্থ উপার্জনে অনেক েেত্র ব্যবহার হচ্ছে। দেশ শাসনে চরিত্রহীনদের প্রতিযোগিতা দেশে দেশে যে চলছে তা বোধ হয় ব্যাখ্যা করে বলার প্রয়োজন নেই। মামা ভাগিনা, চাচা ভাতিজা, আর শালা দুলাভাইর সম্পর্কের সাকো পেরিয়ে স্বজন-প্রীতির মাদুলী গলায় ঝুলিয়ে গর্দভ বড় বড় পদ দখল করতে সম হচ্ছে। আজকাল এসব কোন লুকোচুরি ব্যাপার নয়। জুলুমের ভয়ে জালিমের তাজিম করা আজকাল রেওয়াজ হয়ে গেছে। উপায় তো নেই, প্রত্যেকের গর্দানের উপর মাথা তো একটাই। ইনসাফের রশি ঢিলা হয়ে পড়লে জালিমদের দোরাত্মা বাড়ে। উদ্যত পিস্তলের সামনে পন্ডিতের কলম খুবই অসহায়। নেশাখোরদের সংখ্যাও বেড়ে চলছে। দেশী-বিদেশী মদ, গাজা, ভাঙ থেকে শুরু করে নিচের দিকে বিড়ি সিগারেট সহ নেশাখোরদের অবস্থা যা তাতে অবাক হতে হয়। সংখ্যাটা প্রতি বছরই শুধু বাড়ছে আর বাড়ছে। নাচ-গান, বাদ্য-বাজনার প্রসারও ক্রমশ: ব্যাপ্তির দিকে। এসবকে সংস্কৃতি চর্চা নাম দিয়ে প্রতি গ্রামে প্রতি স্কুলে ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে। বেহায়ামীপনা তো আধুনিকতার ভূষণে পরিণত হয়েছে, জ্বেনাকারের দল ক্রমশ: ভারী হচ্ছে। পশ্চিমা দুনিয়ায় কুমারী ষোড়শী ডুমুরের ফুল। উন্নয়নশীল দেশেও জোর হাওয়া লাগছে। এখন সামাল সামাল অবস্থা। সর্বশেষ কথা হলো, যারা দ্বীনের পথের পথিক হওয়াকে পছন্দ করেছে তাদেরকে শুধু বোকা বা আহাম্মক বলা হচেছ না বরং তারা পশ্চাদপদ, প্রতিক্রিয়াশীল, প্রাগৈতিহাসিক, সেকেলে, মধ্যযুগীয় ইত্যাদি হরদম বলা হচ্ছে। সুতরাং এসব আলামত তো শুরু হয়ে বেশ অগ্রসর হয়ে গেছে। উত্তপ্ত বাতাস প্রবাহিত হয়ে খরায় জ্বলছে স্পেন, অষ্ট্রেলিয়া, ভারত, জাপান, ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়া সহ বহু দেশ। ভুমিকম্প হওয়ার কারণে এই দশকে ইরান, ইকুয়েডর, রোমানিয়া ও জাপানসহ অনেক দেশেরই লোকালয় পৃথিবীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। লোকের আকৃতি প্রকৃতির পরিবর্তনও লনীয়। প্রায়ই শুনা যাচ্ছে এবং খবরের কাগজে সংবাদ বের হচ্ছে যে, অমুক নারী এখন পুরুষ হয়ে গেছে আর অমুক পুরুষ নারী হয়ে গেছে। দুই দশক আগেও এমন সংবাদ শুনা যায়নি, কিন্তু আজকাল পরিবর্র্তিত আকৃতি প্রকৃতির নারী পুরুষও দেখা যাচেছ। আলামতগুলে হুবহু মিলে যাওয়ার পরও যাদের মনে কোন ভাবান্তর ঘটবে না, তারা দাজ্জালের শিষ্যত্ব গ্রহনের উপযুক্ত বলে অবশ্যই বিবেচিত হবে। তবে এসব কথায় যদি তাদের বিশ্বাস থাকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন