বৃহস্পতিবার, ১২ মে, ২০১১

মধ্যপ্রাচ্য সংকট ঃ তেল আশীর্বাদ না অভিশাপ = সম্রাট নূর


তেলের জন্য আজ বিশ্বব্যাপী উত্তাল হয়ে উঠেছেবিশেষ করে মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালে এটা প্রমাণিত হয়যে তেলের এতো গুরুত্ব সে তেলের তেলেসমাতিতে হাঙ্গামা শুরু হয়েছে গোটা বিশ্বেকোনো ভাবে যেন এটার সুষ্ঠ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়যার গায়ে একটু শক্তি বেশি সে যেন এটার মালিক হতে চানকারণ তাদের কাছে খুবিই স্পষ্টতেল সম্পদ নিজের দখলে থাকলে পৃথিবীকে নিজের মতো করে পরিচালনা করা যাবেতাই এ তেলের দখল নিতে বিভিন্নভাবে বিশ্ব জুড়ে চলছে ষড়যন্ত্র, হাঙ্গামা, দখলবাজি, লুটপাট ইত্যাদিবিশ্বের মধ্যে মুসলিম দেশগুলো হলো সবচেয়ে বেশি তেল সম্পদের মালিকএটা ইহুদি, খ্রীস্টানদের সহ্য হওয়ার কথা নয়যে কারনে তারা মুসলিম দেশ গুলোকে টার্গেট নিয়ে নীলনক্সা একে সে মোতাবেক কাজ করে চলেছেনিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য তারা যে কোন কাজ করতে পিছপা হবে নাপ্রয়োজনে রক্তের বন্যা বয়ে যাবেতার নজির আজ সবাই দেখতে পাচ্ছেইরাক, ইরান, সৌদিআরব, কুয়েক, কাতার, লিবিয়া, ইয়েমেন, সিরিয়া, মিশর, আবগানিস্তান, ফিলিস্তিন ইত্যাদি অসংখ্য দেশকে তারা আজ পুঙ্গ করে ছেড়েছেএতোও তারা ান্ত হয়নিদেশের তেল সম্পদ দখলের পর সে দেশের অস্তিত্বও রাখতে নারাজ এসব চক্রতাই যে তেল মানুষের জন্য কল্যাণকর সেই তেল কিনা আজ সবার মাঝে অভিশাপ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে
সর্বশেষ মধ্যপ্রাচ্যে এ গণঅভ্যুত্থানের ঝড় লিবিয়ায় এসে কিছুটা প্রতিরোধের মুখে পড়েছিলকিন্তু জাতিসংঘের অনুমোদনের পর যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, কানাডা, ইতালি প্রভৃতি দেশ যে কোন সময় লিবিয়ার সেনা অভিযান  প্রেরণ করত পারেএই যুদ্ধ দামামার সাথে মহাদুর্যোগ  তেলের বাজারে যোগ করেছে নতুন মাত্রাজাপান বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তিকিন্তু সম্প্রতি দেশটিতে একের পর এক ভূমিকম্প আর সুনামীর কারনে সেখানকার ২০ হাজারের বেশি লোকের মৃত্যু ও পাঁচ লাধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হওয়ায় তার প্রভাব পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতিতেওদেশটিতে জ্বালানি চাহিদা কমতে থাকায় ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কিছুটা কমে ১০০ ডলারে অবস্থান করছে২০০৮ সালে সর্বোচ্চ ছিল ১৪৭ ডলারতবে বিশ্বমন্দার পর কমতে থাকেকিন্তু লিবিয়া, ইয়েমেন, বাহরাইনসহ কয়েকটি দেশে দ্রুত রাজনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকায় তেলের দাম আবার ক্রমাগতভাবে বাড়বেতেলের দামের পারদ ওঠা-নামার সাথেই মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে জড়িতফলে সহসা স্থিতিশীলতা আশা করা বৃথা
বাংলার প্রথিতযশা সাহিত্যিক হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর তৈলপ্রবন্ধের কথা অনেকেরই জানাএই প্রবন্ধে তেলের মাহাত্ম্য ও বহুরূপী ব্যবহার তুলে ধরা হয়েছে রস ঘন ভাষায়স্নেহ জাতীয় এই পদার্থটি বর্তমান বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করছেতেল মূলত দুপ্রকার, ভোজ্যতেল ও জ্বালানি তেলভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধিতে জনসমাজে কিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় তার জ্বলন্ত উদাহরণ বাংলাদেশএই তেল বহুলাংশে আমদানিনির্ভর বলে আমদানিকারকদের নিকট খোদ বাণিজ্যমন্ত্রীকেও অনেকসময় অসহায় মনে হয়েছেঅন্যদিকে জ্বালানি  তেল ছাড়া বর্তমান বিশ্ব সভ্যতাই অচললুইস ক্যাপিটাল মার্কেটস-এর এমডি ও গবেষণা প্রধান এডওয়ার্ড এল মোর্সেলের মতে, এই তেল আধুনিকতা ও বিশ্বায়নের প্রতীকশিল্পোন্নত দেশগুলোর তেল ছাড়া এক মুহূর্তও চলে নাজল, স্থল ও আকাশপথের মালামাল ও যাত্রী পরিবহন  তেল নির্ভরআবার শিল্পোপাদনেও তেল অপরিহার্যঅর্থা তেল ছাড়া গাড়ির চাকা ঘোরে না, এরোপ্লেনের পাখা ওড়ে না, কল-কারখানার উপাদন হুমকির মধ্যে পড়ে ইত্যাদিতেলের জন্য একবিংশ শতাব্দীর সূচনায় ইরাক যুদ্ধের কথা ভুলে যাওয়ার মত নয়উন্নত ও প্রভাবশালী দেশগুলো একদা বৈদেশিক ও শিল্পনীতিতে তেল অস্ত্রকে কাজে লাগাতকিন্তু তেল কোম্পানিগুলো মুক্তবাজারে আসার পর এখন নেপথ্যে নিয়ামক ভূমিকা পালন করছেওপেক বা তেল উপাদনকারী দেশগুলো বেসরকারিকরণের বদলে জাতীয়করণকে অগ্রাধিকার দেয়ায় বিরোধ তৈরি হয়েছেঅর্থনীতি, আজ রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করে বিধায় তেল বিশ্ব-শাসকের আসনে সমাসীনএভাবে বিশ্ব দ্বন্ধ-সংঘাতের মূলেও গুটির চাল হিসেবে কাজ করছে এই শক্তিধর পদার্থটি
বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোতেই রাজনৈতিক অস্থিরতা বিদ্যমানতিউনিসিয়া ও মিসরের গণঅভ্যুত্থান প্রাথমিকভাবে সফলসেই উত্তাপের আঁচ লেগেছে এখন লিবিয়া, ইয়েমেন, আলজেরিয়া, জর্ডান, মরক্কো, বাহরাইন, সিরিয়া, ইরান এমনকি সৌদিআরবেও১৯৭১ সালেও তেলসমৃদ্ধ এসব দেশে এ ধরনের অস্থিতিশীলতা ও অরাজকতা ছিলচলমান সংকটের মূল কারণ হচ্ছে ব্যাপক বেকারত্ব, বড় ধরনের আয় বৈষম্য, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যসহ জীবনযাত্রার সার্বিক ব্যয় বৃদ্ধি, দীর্ঘদিনের অপশাসন, স্বৈরতন্ত্র, তেল আমদানিকারক দেশের স্বার্থ ইত্যাদিএসব প্রতিটি কারণের সাথেই তেল স¤পৃক্ত১৯৭১ সালে আরব বিশ্বের তেল উপাদনকারী দেশগুলো তেলভিত্তিক আন্তর্জাতিক মতার ভারসাম্য স্থাপনে চেষ্টা করেছিলনিজেদের মধ্যে এবং পশ্চিমা তেল  কোম্পানি ও ভোক্তাদের মাঝে ত্রিপীয় সমঝোতা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিলসে সময় লিবিয়া, আলজেরিয়া, ইরাক ও সৌদিআরব ইউরোপে সরবরাহকৃত তেলের মূল্য নতুন করে নির্ধারণ করেফলে ইউরোপে রাতারাতি তেলের মূল্য ৩৫ ভাগ বেড়ে যায়একই সময় ওপেক (অরগানাইজেশন অব পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ) তেল কোম্পানির ওপর ৫০ থেকে ৮০ ভাগ ট্যাক্স বৃদ্ধি করেএ বছরই লিবিয়া ও আলজেরিয়া তেল সম্পদ জাতীয়করণের উদ্যোগ নেয়ফলে লিবিয়ায়  তেল উপাদনকারী কোম্পানি ব্রিটিশ পেট্রোলিয়াম (বিপি) ও আলজেরিয়ায় দায়িত্বরত ফ্রান্সের কোম্পানি সিএফপি তিগ্রস্ত হয়এ সময় যুক্তরাষ্ট্র তেল বাণিজ্যের েেত্র ব্রিটন উডস পদ্ধতি পরিত্যাগ করলে ডলারের অবমূল্যায়ন ঘটেঅর্থা ওপেক সদস্য রাষ্ট্রগুলো তেলের দাম বাড়িয়েও তির শিকার হয়এই প্রেেিত লিবিয়া তার তেল অস্ত্রকে পশ্চিমা বিশ্বের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে শুরু করেলিবিয়ার প্রেসিডেন্ট মুয়াম্মার গাদ্দাফি ১৯৬৯ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মতারোহণ করেনতিনি তখন থেকেই তেল উপাদন কমাতে শুরু করেন১৯৭০ সালে লিবিয়ায় যেখানে প্রতিদিন ৩.৩৫ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উপাদিত হত, সেখানে ১৯৭২ সালে এসে দাঁড়ায় ২.২৫ মিলিয়ন ব্যারেল১৯৭৩ সালে কমতে কমতে তা ১.৬ মিলিয়ন ব্যারেলে পরিণত হয়আরব দেশগুলো তেলের মূল্য ও রাজস্ব বাড়াতে মরিয়া হয়ে ওঠেএভাবে তেল বাণিজ্যে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়একইসঙ্গে তৈরি হয় দ্বন্ধ-সংঘাতের পথওওপেক রাষ্ট্রগুলো একের পর এক তেলশিল্প জাতীয়করণের উদ্যোগ নিলে তেল কোম্পানিগুলো মধ্যপ্রাচের বাইরেও তেল সম্পদের দিকে নজর দিতে শুরু করেকিন্তু তেমন সুবিধে করতে না পারায় মধ্যপ্রাচ্যের তেল সম্পদের ওপর নির্ভরশীলতা বাড়তে থাকেতেলের মূল্য বিশ্বরাজনীতির কেন্দ্রমূলে চলে আসেতেলের দাম বাড়লে উপাদনকারী দেশ লাভবান হয়তিগ্রস্ত হয় ভোক্তা দেশ, আবার তেলের মূল্যহ্রাসে লাভবান হয় আমদানিকারক দেশ, তির শিকার হয় রফতানিকারক দেশ
যা হোক, দুই দশক ধরে তেলের মূল্য ছিল বাড়তির দিকেতবে ১৯৮১ ও ১৯৮৫ সালের মধ্যভাগে তেলের মূল্য ব্যারেল প্রতি ৩৫ ডলারের পরিবর্তে ১০ ডলারে নেমে আসে১৯৯০ সালে তা ২০ ডলারে এসে স্থিতিশীল হয়কিন্তু ১৯৯৮ সালে আবার ১০ ডলারে নেমে যায়এই তিন দশকে তেলসমৃদ্ধ দেশগুলোতে জনসংখ্যা বাড়তে থাকেশিশু জন্মের হার বৃদ্ধি পায়একইসঙ্গে বাড়ে জীবনযাপনের চাহিদাও কিন্তু একদিকে তেল রাজস্ব হ্রাস ও অন্যদিকে জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে মাথাপিছু আয় কমতে শুরু করেসরকারগুলো অর্থনীতির বহুমুখীকরণে ব্যর্থ হয়নতুন বিনিয়োগের পাশাপাশি সামাজিক খাতে ব্যয় বাড়ানো হয়নিলিবিয়া কোন অর্থনৈতিক সংস্কারের চেষ্টা করেনিএসব কারণে জনঅসন্তোষ ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়পরবর্তীতে তেলের দাম বাড়লেও তা জীবন মানে সামঞ্জস্যহীনএভাবে আরব উপদ্বীপ ও পারস্য উপসাগরের সন্নিকটবর্তী যে সব এলাকা অত্যন্ত জনসমাকীর্ণ, সেখানে গণবিােভ আজ সহজেই সংক্রমিত হচ্ছেএই পরিস্থিতি তেল উপাদনেও প্রভাব ফেলছে
মিসর তেলের পাশাপাশি পরিমিত প্রাকৃতিক গ্যাসের রফতনিকারকসমুদ্রপথে জাহাজে করে ও পাইপলাইন দিয়ে প্রতিবেশী ইসরাইল, জর্ডান, সিরিয়া ও লেবাননে গ্যাস রফতানি করে থাকেকিন্তু গত ফেব্রয়ারি মাসে উত্তর সিনাই অঞ্চলের বেশিরভাগ পাইপলাইনে বিস্ফোরণ ঘটেএটা স্রেফ দুর্ঘটনা বা আন্দোলনকারীদের নাশকতাও হতে পারেতবে সুইজ ক্যানেল কোনভাবে তিগ্রস্ত হয়নিউল্লেখ্য, সুয়েজ খাল দিয়ে মোট তেল বিশ্ববাণিজ্যের ৯ ভাগ পরিচালিত হয়লিবিয়ায় চলমান গৃহযুদ্ধের কারণে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৭ লাখ ব্যারেল তেলের বাণিজ্য তিগ্রস্ত হচ্ছেসৌদি আরব সেই তি পুষিয়ে দেবে বলে দাবি করছেকিন্তু লিবিয়া ও সৌদি আরবের তেল বিনিময়যোগ্য নয়লিবিয়ার অশোধিত তেলের গুণগত মান খুবই ভাললিবিয়ায় প্রতিদিন যে ১.৫ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উপাদিত হয় তার বেশিরভাগই পরিচ্ছন্ন ও সবচেয়ে উন্নতমানেরএই তেলে সালফারের মাত্রা কমফলে সহজেই উচ্চ চাহিদাসম্পন্ন পেট্রোলিয়ামে পরিশোধিত করা যায়যা থেকে তৈরি হয় ডিজেলওপান্তরে, সৌদি তেল ভারী বলে সহজেই পরিশোধনযোগ্য নয়লিবিয়ার তেলের বাজার হচ্ছে ইতালি, ফ্রান্স, স্পেন, সুইজারল্যান্ড ও জার্মানিলিবিয়ার পাশাপাশি আলজেরিয়ার অশোধিত তেলেরও গুণগতমান সন্তোষজনকএই দুই দেশ প্রতিদিন যৌথভাবে প্রায় ২.৭ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উপাদন করেপান্তরে, ইরান ও ইয়েমেন যৌথভাবে উপাদন করে ২.৪ মিলিয়নকিন্তু এসব দেশের রজনৈতিক অস্থিরতা তেল বাণিজ্যের জন্য হুমকিস্বরূপএদিকে গণবিােভ চলছে বাহরাইন ও ওমানেওফলে হরমুজ প্রণালী দিয়ে তেল সরবরাহ বিঘিœত হচ্ছেপ্রতিদিন ৩০টি বড় বড় ট্যাংকে বিশ্বের সমুদ্রবাহিত তেল বাণিজ্যের এক-তৃতীয়াংশ পরিচালিত হয় এই পথেএই রুট দিয়ে পরিবহনের মাধ্যমে এশিয়ার ৭৫ ভাগ তেল চাহিদা পূরণ করে
একদিকে এশিয়ার চীন, ভারত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া প্রভৃতি দেশে তেলের চাহিদা বাড়ছেঅন্যদিকে আরব দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ বাজারেও তেলের চাহিদা ক্রমবর্ধমানআরব উপসাগরের দেশগুলোতে ২০০০ সালে প্রতিদিন তেলের চাহিদা ছিল ৪.৮ মিলিয়ন ব্যারেলতা গত বছর ২০১০ সালে ৭.৮ মিলিয়নে পরিণত হয়ফলে দীর্ঘমেয়াদে তেল আমদানীকারী শিল্পোন্নত দেশগুলো তিগ্রস্ত হওয়ার আশংকাই প্রবলআবার আরব সরকারগুলো নিজ দেশে সস্তায় ও ভর্তুকি দিয়ে জ্বালানি তেল সরবরাহ করছেতারা রাজনৈতিক কারণেই অভ্যন্তরীণ বাজারে তেলের দাম বাড়াতে পারছে নাএেেত্র ব্যতিক্রম শুধু ইরানযুক্তরাষ্ট্রের, নিষেধাজ্ঞার করণে তাতে মানিয়ে নিয়েছে অনেকেতবে কেবল তেলনির্ভর অর্থনীতি হওয়ার কারণেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে নিকট ও অদূর ভবিষ্যতে আরও বিপদ অপো করছেঅর্থনীতি বহুমুখীকরণের অভাবে চলমন সংকটে সরকারগুলোর টিকে থাকার সম্ভাবনা ীণঅর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে কাঙ্খিত   পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে এসব দেশে স্থিতিশীলতা ফিরে আসতে পারে

- সাংবাদিক

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন