বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০১১

টিভি চ্যানেল কর্তৃপক্ষের নিকট কিছু প্রস্তাব

টিভি চ্যানেল কর্তৃপক্ষের নিকট কিছু প্রস্তাব
শাহ আব্দুল হান্নান

আমাদের দেশে কয়েক বছর আগ পর্যন্ত মাত্র একটি টিভি চ্যানেলই ছিল। সেটি বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। বিটিভিতে আশির দশকের দিকে দুবেলা অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু হয়েও পরবর্তীতে বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘদিন পর এখন আবার দুবেলা অনুষ্ঠান হচ্ছে। নব্বইয়ের মাঝামাঝি সময় থেকে দুটি প্রাইভেট টিভি চ্যানেলকে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেয়া হয়। একটি হচ্ছে এটিএন অপরটি চ্যানেল আই। আরো পরে বেসরকারি টিভি চ্যানেল হিসেবে ইটিভিকে টেরেসট্রিয়্যাল মাধ্যমে অনুষ্ঠান প্রচারের জন্য অনুমতি দেয়া হয়। এটিএন এবং চ্যানেল আই এর টেরেসট্রিয়্যাল সুবিধা ছিল না। কিন্তু ইটিভির এ সুবিধা থাকায় তাদের সারাদেশে ব্যাপক গ্রাহক হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয় ও আদালতের রায়ের প্রেেিত চ্যানেলটি বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে দেশে এটিএন, চ্যানেল আই,দিগন্ত টিভি, বৈশাখী, বাংলাভিশন, এনটিভি ইত্যাদি সহ প্রায় ১২টি প্রাইভেট চ্যানেল চালু আছে। সামনে আরো কিছু চ্যানেল আসতে পারে।
যাহোক, আমি সত্যিকার অর্থে খুব বেশি টিভি দেখি না। কিন্তু সমাজ সম্পর্কে অবহিত থাকার জন্য এবং সমাজে কী হচ্ছে তা বোঝার জন্য, জানার জন্য, যতটুকু দেখার দরকার বা না দেখলে সমাজে কী হচ্ছে তা বোঝা যাবে না বা টিভি চ্যানেল সমূহে কী হচ্ছে তা বোঝা যাবে না-ততটুকু দেখি। এরই ভিত্তিতে টিভি চ্যানেলগুলোর মালিক এবং পরিচালকদের কতগুলো বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। সে সাথে প্রযোজ্য েেত্র এগুলো বাংলাদেশ টেলিভিশনকেও আমি বিবেচনা করতে অনুরোধ করছি।
প্রথমত, আমি ল্য করলাম, ১৪ ফেব্র“য়ারীর আগের কয়েকদিন টিভিতে পাশ্চাত্যে যেটি ভ্যালেন্টাইন ডে হিসেবে পালিত বিটিভি তা বেশ গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরে। এখানে আমার প্রশ্ন, ভ্যালেন্টাইন ডে বা ভালোবাসা দিবস সম্পর্কে কয়েক বছর আগেও আমাদের দেশের মানুষ জানত না এবং যার ইতিহাস খুব ভালো কিছু নয়-সেটিকে আমাদের দেশে পপুলার করার দরকার আছে কি না? বা আমরা পপুলার করব কি না? কিংবা প্রাইভেট চ্যানেলগুলোর এ ব্যাপারে কোনো বাধ্যবাধকতা আছে কি না? ইতিহাসের দিকে তাকালে আমরা দেখব, খৃষ্টের জন্মের প্রায় পাঁচশ বছর আগে প্যাগান বা প্রকৃতি পূজকদের অনুষ্ঠান ছিল। সেখানকার মুল বিষয় ছিল, একটি লটারি হতো এবং আগামী বছর লটারি না হওয়া পর্যন্ত যুবতীদেরকে যুবকদের মাঝে লটারি করে বন্টন করা হতো। আরো দেখা যায়, তারা নানারকম পশুর চামড়া দিয়ে তৈরি স্বল্প বসনা মেয়েদের প্রহার করত এবং মনে করা হতো এ প্রহারের ফলে তাদের ভালো সন্তান হবে। এর মানে হলো অশ্লীলতা তো ছিলই এবং সে সাথে ছিল কুসংস্কার।
খৃষ্টধর্মের আর্বিভাবের পরে এ দিবসটিকে সংস্কার করার চেষ্টা করা হলো। কিন্তু ইতিহাস থেকে দেখা যায় সংস্কারের প্রচেষ্টা খুব একটি ফলপ্রসু হলো না। শুধু আগের নাম পাল্টিয়ে ভ্যালেন্টাইন ডে করা হলো এবং তারা চেষ্টা করলো এটিকে একটি যাজক বা খৃষ্টের নামে নাম করা, যার ল্য হবে লটারিতে যার নাম উঠবে সে ওই যাজকের মতো ভালো হবে। ভালো জীবনযাপন করবে। কিন্তু প্রকৃত পে নামের পরিবর্তন ছাড়া আর কোনো পরিবর্তনই সাধিত হলো না এবং সেটি পূর্বের মতোই রয়ে গেল।
প্রকৃতপে ভ্যালেন্টাইন ডে’র ইতিহাস এরকমই। এখানে ভ্যালেন্টাইন সম্পর্কে বঝতে সুবিধার জন্য লন্ডনের মাসিক ইমপ্যাক্ট ইন্টান্যাশনালের কিছু অংশ উদ্ধৃতি করছি।
“কথিত আছে খৃষ্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীতে উর্বরতা ও পশুর দেবতা বলে খ্যাত লুপারকাসের সম্মানে পৌত্তলিক রীতিনীতির একটি অংশ হিসেবে রোমানরা ভ্যালেন্টাইন ডে উদযাপন শুরু করে। এর মূল আকর্ষণ হলো পরবর্তী বছরের লটারির আগ পর্যন্ত বর্তমান বছরের লটারির মাধ্যমে যুবকদের মাঝে যুবতীদের বন্টন করে দেয়া। এ দিন উদযাপরে অন্যান্য ঘৃণ্য অনুষ্ঠানের মধ্যে একটি ছিল, এক টুকরো ছাগলের চামড়ায় আবৃত যুবতীদের দু’জন যুবক কর্তৃক উৎসর্গকৃত ছাগল ও কুকুরের রক্তে ভেজা চাবুক দিয়ে প্রহার করা। মনে করা হতো পবিত্র যুবকদের প্রতিটি পবিত্র আঘাত দ্বারা ঐ সব যুবতী ভালোভাবে সন্তান ধারণে সম হবে।খ্রষ্টান সম্প্রদায় যথারীতি লুপারকালিয়ার এ ঘৃণ্য রীতিকে বন্ধ করার চেষ্টা করলো।......... কিন্তু খৃষ্টানরা খুব কম স্থানেই সফল হলো। একটি জনপ্রিয় খারাপ কাজকে কিছু পরিবর্তন করে তাকে ভালো কাজে লাগাবার প্রবনতা বহু পুরাতন। তাই খৃষ্টানরা শুধুমাত্র লুপারকালিয়া থেকে এ উৎসবের নাম সেন্ট ভ্যালেন্টাইন করতে পারলো। পোপ গ্যালাসিয়াস ৪৯৬ খৃস্টাব্দে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের সম্মানে এটি করলো। তথাপি খৃষ্ঠান কিংবদন্তীতে ৫০ এর ও বেশি দিবসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ তা হলো, সেন্ট ভ্যালেন্টাইন হলেন ‘প্রেমিকদের যাজক’ যে নিজেকে কারাগারের প্রধানের মেয়ের প্রেমে জড়িয়ে ফেলে” (ওসঢ়ধপঃ ওহঃবৎহধঃরড়হধষ, লন্ডন, মার্চ, ২০০১)।
এ যার ইতিহাস, যার মধ্যে রয়েছে কুসংস্কার ও অশ্লীলতা, সে রকম একটি জিনিসকে কেন আমাদের সমাজে আমদানী করতে হবে। আমাদের দেশে দিবসের তো অভাব নেই। আমাদের ঈদের মতো উৎসব রয়েছে। অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের নিজেদের ধর্মীয় উৎসব রয়েছে। আমাদের বড় বড় মনীষীদের জন্ম-মৃত্যু দিবস রয়েছে। আরো অনেক দিবস থাকতেও এ রকম একটি কুসংস্কার ও অশ্লীলতাকে আমাদের এখানে আনার কী যৌক্তিকতা থাকতে পারে? এ দিবসের গভীরে আরেকটি বিষয় লণীয় যে, এটি মূলত ব্যবসায়ীদের মার্কেটিং কৌশলে পরিণত হয়েছে। এ উপলে ফুল, কার্ড, পোশাক, পরিচ্ছেদ আর নানা রকম উপহার সামগ্রী বেচাঁকেনা হবে। এর সাথে মানুষের তেমন কি স্বার্থ রয়েছে এবং কোন যুক্তিতে এমন একটি দিবসকে, যার পরিচয় উপরে দেয়া হলো, আমরা পপুলার করব।
আমি চ্যানেল মালিকদের নিকট অনুরোধ করি, ভবিষ্যতের আপনারা ভ্যালেন্টাইনকে পপুলার করবেন না। এবার ২০০৪ সালের হিসেবে ও সারা দেশের ১৪কোটি জনসংখ্যার মধ্যে হয়তো কেবল ঢাকা শহরেই কয়েক হাজার লোক এ দিবস পালন করেছে। গ্রামের এবং দেশের অধিকাংশ মানুষ এটি জানেই না। তাই এটিকে কেন ব্যাপক করবেন। এতে তো আপনাদেরওর বিজ্ঞাপন তেমন বাড়বে না। আর যদি এক দু’টি বেড়েই থাকে তাহলে সেটি কি এতই মূল্যবান যার জন্য আমাদের জাতীয় কালচারে একটি পরিবর্তন আনতে হবে? এটি বিবেচনা করে দেখতে হবে। আগামী বছরের জন্য এখন থেকে এটি পরিকল্পনায় আনতে হবে। এটিকে আপনার- আপনাদের পরিকল্পনা থেকে বাদ দিতে পারেন। আমার জানা আছে দু’একজন ব্যক্তি এবং সাপ্তাহিক গত তিন-চার বছর ধরে একে পপুলার করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু এ ফাঁদে পড়ার তো কোন প্রয়োজন নেই। তাদের এ চেষ্টা বা অপচেষ্টায় আপনারা কেন শরিক হবেন?
দ্বিতীয়ত: আমি বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত বিষয়ে আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। বিজ্ঞাপন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। বিজ্ঞাপন ছাড়া সরকারি টিভি ও বাণিজ্যিকভাবে পরিচালনা করা সম্ভব নয়। তাই সবার বিজ্ঞাপন দরকার। লাভজনকভাবে চালাতে গেলেও দরকার। কিন্তু গত এক বছর ধরে আমি বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপলে প্রচারিত বিজ্ঞাপনে দেখেছি, টিভি চ্যানেল গুলো ক্রমাগতভাবে আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাথে সংগতিহীন হয়ে পড়েছে। একান্তই পুরুষদের ব্যবহৃত পণ্যের বিজ্ঞাপনে নারীদেরকে অযৌক্তিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিজ্ঞাপনে পুরুষের চেয়ে নারীদের উপস্থিতি অনেক বেশী। আমি ব্যক্তিগতভাবে ধূমপান নিষিদ্ধ করার প।ে একজন মানুষের বেচেঁ থাকার জন্য এর নূন্যতম প্রয়োজন নেই। সে যাই হোক, আমাদের টিভি চ্যানেলগুলোতে সিগাররেটের যে বিজ্ঞাপন দেয়া হয় তা অনেকটা কুরুচিপূর্ণ। আর এ সিগারেটের বিজ্ঞাপনেও নারী মডেলের অপ্রয়োজনীয় উপস্থিতি লণীয়। অধিকাংশ নারীই স্বামী- সন্তানের সিগারেট খাওয়া রোধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। কোনো নারীই চান না তার স্বামী-সন্তান ধূমপায়ী হোক। অনেক স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ধূমপানকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব পর্যন্ত দেখা দেয়। সেখানে বিজ্ঞাপনে স্বামী বা বন্ধুর সিগারেট খাওয়ায় নারীর সহযোগিতা বা উৎসাহ নারীকে কতটুকু হেয় করে তা দর্শকদের না বোঝার কথা নয়। কাজেই সকল বিজ্ঞাপনেই নারীর ব্যবহার কতটুকু যুক্তিযুক্ত এবং উদ্দেশ্যমূলক সে প্রশ্ন দর্শকরা তুলতেই পারেন।
বিজ্ঞাপনে আমরা আমাদের কালচার থেকে সরে যাচ্ছি। বেশিরভাগ বিজ্ঞাপন চিত্রেই দেখা যায় নারীদের শরীরে ওড়না নেই। নারীর শরীর প্রকটভাবে তুলে ধরার ল্েয হিন্দি সিনেমার মতো হঠাৎ বৃষ্টিতে মডেলের ভেজানো হয়। দেখা যায় নারী মডেল প্রায়ই ওড়না উড়িয়ে দিচ্ছেন। এসব এক ধরনের অশ্লীলতা। অপ্রয়োজনীয়ভাবে নারী মডেলের ওড়না উড়িয়ে না দিলে কিংবা বৃষ্টিতে না ভিজালে কি সে পণ্যটি কেউ কিনবে না? অনেক মডেল আবার ওড়না এক পাশে ঝুলিয়ে রাখে। আবার অনেকে ওড়না গলায় পেঁচিয়ে রাখে। দুঃখজনক হলো শুধু বিজ্ঞাপনেই নয়, অনুষ্ঠান উপস্থাপনায়ও অনেক মেয়ে এ নেতিবাচক স্টাইলটি গ্রহণ করেছে। এটি প্রকৃতপে আমাদের ঐতিহ্য বিরোধী। তাহলে আমাদের জাতির ঐতিহ্য বিরোধী এসব অশ্লীল এবং বিকৃত কালচার ছড়িয়ে দেয়ার উদ্দেশ্য কি? আমরা তো মনে করি, এদেশের শতকরা নিরানব্বই জন লোকই জাতির ভালো ঐতিহ্য থেকে সরে যেতে চায় না।
বিজ্ঞাপনে এও দেখা যায় যে, নির্দিষ্ট একটি ক্রিম ব্যবহার করলেই ত্বক ফর্সা হবে আর অমনি চাকরি হয়ে যাবে, এমন অবাস্তব সংলাপ কি বিজ্ঞাপন চিত্রে আসে? বিষয়টি এত সহজ নয়। বাংলাদেশ বিমানবালার চাকরির জন্য রঙ ফর্সা বাধ্যতামূলক নয়। কনডেন্সড মিল্কের একটি বিজ্ঞাপনে একজন নারী মডেলকে কৌশলে অশালীনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। বিজ্ঞাপনে মেয়েদের শার্ট প্যান্ট পড়াই শুধু নয় সেটি আরো অতিক্রম করে শার্ট প্যান্টের সাথে ওড়নাবীহিন অবস্থা ল্য করা যায়। আসলে প্রচার অশ্লীল কিংবা অসৌজন্যতা সংস্কৃতিক মুল্যবোধহীন হলেই পণ্য বেশি বিক্রি হয় না। প্রকৃতপে পণ্যের প্রচারের জন্য অশ্লীলতার প্রয়োজন নেই। কিন্তু বিজ্ঞাপন নির্মাতারা আমাদের রুচিবোধকে তোয়াক্কা করছে না। শুধু নির্দিষ্ট একটি সাবান ব্যবহারে স্টার বনে যাওয়ার মতো অবাস্তবতাও ল্য করা যাচ্ছে।
আমি টিভি চ্যানেলগুলোকে বলতে চাই আপনারা প্রতিযোগিতায় আছেন ঠিকই, কিন্তু আপনাদের কতগুলো কমন স্বার্থ আছে। এ কমন স্বার্থের জন্য আপনারা একটি নীতিমালা ঠিক করেন যে আপনারা এসব সীমা বিজ্ঞাপনের েেত্র অতিক্রম করবেন না। তাহলে কেউই তার ফলে অপ্রয়োজনীয় সুবিধা নিতে পারবেন না। এজন্য আমি মনে করি টিভি চ্যানেলসমূহের একটি সমিতি হওয়া আবশ্যক। সেখান থেকেই আপনারা আপনাদের স্বার্র্থের জন্য কাজ করবেন। তখন, যারা বিজ্ঞাপন দাতা তাদেরও অহেতুক চাপের সম্মুখীন আপনারা হবেন না। কেননা আপনাদের তো একটি নীতিমালা থাকবে। আপনাদের ; নীতিমালার কতগুলো বিষয় থাকবে। যেমন সিগারেট বা কোন মাদকের বিজ্ঞাপন প্রচার করবেন না। পোশাকের েেত্র আমাদের ঐতিহ্য সে ঐতিহ্য খুবই ভালো সে ঐতিহ্যকে কখনোই বাদ দেবেন না। ওড়নাকে বাদ দেয়া বিজ্ঞাপনে অনুমোদন করবেন না।
আমাদের দেশে শালীনতার যে ধারণা তাতেও দেখা যায় বিজ্ঞাপনে যারা ওড়না ছেড়ে দিচ্ছে তারা কিন্তু ওড়না পরছে। সুতরাং এমন করার কি দরকার আছে যা তারা নিজেরাই মেনে চলতে পারছে না। পারিবারিক গন্ডির বাইরে শুধুমাত্র বিজ্ঞাপনের প্রযোজনে ওড়না ছেড়ে দেয়া বা এ ধরনের পোশাকের েেত্র ছাড় দেয়ার কি প্রয়োজন?
উপস্থাপনার ব্যাপারে একটি কথা বলতে চাই। এটি বিশেষ করে উপস্থাপিকাদের েেত্র প্রযোজ্য। আমাদের উপস্থাপিকারা অনেক যোগ্য এতে সন্দেহ নেই। তারা সুন্দর উপস্থাপনা করেন এতেও কোন বক্তব্য নেই। কিন্তু আমি বারবার ল্য করেছি উপস্থাপিকারা ওড়না ছেড়ে অনেক অনুষ্ঠান উপস্থাপন করেন। এটি টিভি প্রোগ্রামে গ্রহন করার দরকার কি? এগুলো শুধু যে ঐতিহ্য বিরোধী তা নয়, এটি ভবিষ্যতে আমাদের ঐতিহ্যের তিও করতে পারে এবং এটি আমাদের পোশাকের মধ্যে অশ্লীলতা আনতে পারে। এতে সাধারণ ছেলেমেয়েরাও প্রভাবিত হবে। এসব দিকে আপনাদের দায়িত্ব রয়েছে। জাতীয় কালচারের কোনো প্রকার তি, এমনকি ধর্মের ও ধর্মীয় ঐতিহ্যের কোনো তি না হয়- এ ব্যাপারে কি আপনাদের কোন দায়িত্ব নেই?
প্রত্যেকটি চ্যানেলই তো আজ ইসলামী ঐতিহ্যকে গুরুত্বের সাথে প্রচার করা হচ্ছে। এটি তো প্রচারিত হচ্ছে আপনাদের বিশ্বাস আর ভালবাসার কারণে। এ বিশ্বাস আর ভালোবাসার দাবি, আপনাদের চ্যানেলে ইসলাম বিরোধী অনুষ্ঠান বা বিষয় রাখবেন না। এটি করা সম্ভব। তাই এটি আপনাদের বিবেচনা করতে অনুরোধ করি। আশা করি টিভি চ্যানেল কর্তৃপ আমার প্রস্তাবগুলো বিবেচনা করে দেখবেন।
# সাবেক সচিব,
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন