বাংলাদেশে আদর্শিক আন্দোলনের রাজনীতি ঃ সাম্প্রতিক ভাবনা
মুহাম্মদ সাকিল উদ্দিন
বিশ্ব মানচিত্রে আয়তনে ছোট হলেও জনসম্পদ প্রাকৃতিক সম্পদ আর ভৌগলিক অবস্থানের কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে স্বগৌরবে দাঁড়িয়ে আছেস্বাধীন সার্বভৌম লাল সবুজের পতাকাধারী প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ। এটি কোন সাধারণ রাষ্ট্র নয় যে সময়ের পরিবর্তনে স্বাভাবিক জন্মের মাধ্যমে এরউৎপত্তি হয়েছে, এটি বরং একটি অর্জন। কয়েক দফা পরিবর্তনের মাধ্যমে অবশেষে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে। এর মানচিত্র বদলেছেঅনেকবার, সরকারী দলে আসীন হয়েছে নানা রকমের আদর্শিক রাজনীতি। পরিবর্তন ঘটেছে জন মানুষের চাহিদা ও চেতনায়। অবিস্মরণীয় ও আমূলপরিবর্তন ঘটেছে এদেশের মানুষের আাকিদা ও বিশ্বাসের েেত্র। আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে রাষ্ট্রের জনগণ ও সরকার। ল্য সবার একটাই, সমৃদ্ধ ও স্বনির্ভর উন্নত জাতি গঠন ও সন্ত্রাস-দূর্নীতি মুক্ত নিরাপদ আতœনির্ভরশীল উন্নত রাষ্ট্র গড়ে তোলা। সেই সাথে আশাবাদীও হওয়া উচিত যে, আরকোন বিভাজন নয় বাংলাদেশ ভূ-খন্ডে বসবাসকারী সকল জনগোষ্ঠীই বাংলাদেশের নাগরিক সকলে মিলে মিশে শান্তিতে বসবাস এবং একত্রে দেশ গঠনেঅংশগ্রহণ করে মর্যাদা সম্পন্ন বাংলাদেশী হিসেবে এদেশের মানকে বিশ্ব দরবারে সুপ্রতিষ্ঠত করা। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় আমাদেরকে আজ অবলোকনকরতে হচ্ছে যে কয়েক দফা মানচিত্র, শাসক ও রাজনীতির পরিবর্তনের ফলেও হানাহানি, দূর্নীতি, দারিদ্র, বেকারত্ব, পরনির্ভর অর্থনীতি, সীমান্তে বাংলাদেশীখুন, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন, শিা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসের রাজত্ব, ব্যবসায় সিন্ডিকেট, প্রশাসনে ঘুষ ও দলীয়করণ, সমাজে ইভটিজিং এসব এখনো প্রতিষ্ঠিত আছে এভূ-খন্ডে। কিন্তু কেন ? প্রাচীন পুন্ডনগর থেকে বাংলা, সম্রাট হুমায়ুনের জান্নাতাবাদ, এরপর পূর্ববঙ্গ থেকে পূর্ব-পাকিস্থান পরিশেষে স্বাধীন সার্বভৌমবাংলাদেশ। মানচিত্র, পতাকা, শাসক ও রাজনীতির এতো পরিবর্তনও কেন মানুষের ও দেশের ভাগ্য বদলাতে পারেনি। কারণ-
এক. স্বাধীন হয়েও পরাধীনের মতো অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এমনকি রাজনৈতিকভাবেও বিদেশের প্রতি নতজানু নীতির পরিবর্তন হয়নি।
দুই.এদেশের শাসকগণ এদেশের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থাকেনি। মতায় টিকে থাকার জন্য যে কোন পন্থা অবলম্বন করতে দ্বিধা করেননি।
তিন. দেশ পরিচালনার মূলনীতি সংবিধান, জনগণের আকিদা ও বিশ্বাসের প্রতিফলনে রচিত হয়নি।
চার. সর্বত্র দলীয়করণ, দূর্নীতি ও সন্ত্রাসে শাসক গোষ্ঠীর ব্যক্তিগত ও দলীয়ভাবে অংশ গ্রহণ বন্ধ হয়নি।
পাঁচ. গণতান্ত্রিক চর্চা বন্ধ করে বিরোধীদলকে দমননীতি রাজনৈতিক অস্থিরতাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
ছয়. শাসক গোষ্ঠীর অবৈধ আশ্রয়-প্রশ্রয়ে প্রশাসনের আমলাগণ জনসেবার পরিবর্তে রাষ্ট্রের সম্পদ লুটে নিচ্ছেন।
সাত. রাষ্ট্রীয়ভাবে নীতি নৈতিকতার শিা প্রদানে তেমন কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। উপরোক্ত মৌলিক কারণ ছাড়াও হাজারো কারণ রয়েছে যা উল্লেখেরঅবকাশ এখানে নেই।
তাহলে এত পরিবর্তনের পরও মৌলিক আচরণ ও নীতির পরিবর্তন কেন হলো না, এটা খুঁজে দেখা আজ সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ ভূ-খন্ডে যারা যুগে যুগে শাসন করেছেন তারা বিভিন্ন মতাদর্শিক আন্দোলনের শাসক ছিলেন। শাসনকার্যে সেসব মতাদর্শের প্রতিফলনও ঘটিয়েছেন।কিন্তু তবুও জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা যায়নি, সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশ গঠন করা যায়নি। পরস্পর সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশের নজির সৃষ্টি করা যায়নি। এর কারণওআজ খুঁজে দেখার সময় এসেছে। রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্থান পতন আছেই। তাই বলে কি বিপরীত মতাদর্শের দলকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা কোন গণতান্ত্রিক নীতিহতে পারে ? যে কাররই কোন আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করার অধিকার রয়েছে। আজ বাংলাদেশের ৯০% মানুষ ইসলাম ধর্মের অনুসারী যেখানে বাঙালী ওধর্মনিরপে রাজনীতিও চলছে, এমনকি বিভিন্ন সময়ে মতায়ও আসীন হচ্ছে, জাতীয়তাবাদী রাজনীতিও চলছে এবং স্বাধীন বাংলাদেশে তারাই বেশির ভাগসময় রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেয়েছে, আবার ধর্ম অস্বীকারকারী পাশ্চাত্য ও নাস্তিকদের তত্ত্ব নিয়ে মাঠে বাম রাজনীতির আস্ফালন ও কম নয়, ধর্মনিরপেতার কাঁধে উঠে তথাকথিত মুক্তবুদ্ধি ও প্রগতির নৌকায় চড়ে মতায়ও আসীন হয়েছেন তাদের ২/১ জন। অপরদিকে, মূলজ্ঞান ওহীর বিধানকায়েমের চেষ্টাকারী ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলো রাজনীতি করছে দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য। তাদেরও কোন অংশের কোন এক সময় মতার অংশীদার(ুদ্রভাবেহলেও) হওয়ার সুযোগ হয়েছিল নাম মাত্র। এখানে বাংলাদেশ অধ্যায়ে শাসকগোষ্ঠীর আচরণ, কর্ম, চিন্তা, কৌশল, পররাষ্ট্রনীতি, অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন ওপরিকল্পনা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, ইতিহাসে এদের কেউ অন্য দল নিষিদ্ধ করে সংবাদপত্রের কন্ঠ রোধ করে দেশকে নিজের পরিবারের সম্পদ বানিয়েহয়েছেন এক নায়ক । কেউ মতা গ্রহণের জন্য জনমত গ্রহণ না করে বিশেষ বাহিনী ব্যবহার করেছিলেন। আবার কেউ প্রতরাণা ও হঠকারিতার মাধ্যমে ক্যুকরে মতায় এসে গণতন্ত্র ধ্বংস করে স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। গণদাবীর মুখে সংসদীয় গণতন্ত্রের যাত্রায় কেউ মতার মসনদ ছাড়তে অনীহা দেখিয়েকারচুপির ভোট গ্রহণ করার চেষ্টা করেছেন। আবার কারো েেত্র দেখা গেছে দূর্নীতির চ্যাম্পিয়ন ট্রফি বাংলাদেশে এনে কয়েকবার রাখার কৃতিত্ব অর্জনেরপাশাপাশি, দলীয়করণ,সন্ত্রাস, ধর্ষণের সেঞ্চুরি উদযাপন, নিজ দেশের সন্ত্রাসী দেশদ্রোহী অপশক্তির সাথে নির্লজ্জ আপোষ করে কালোচুক্তির মাধ্যমে দেশেরএকদশমাংশ পার্বত্য এলাকা বাংলাদেশের ভূ-খন্ড থেকে আলাদা করার ষড়যন্ত্র এবং দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে প্রভু রাষ্ট্রের সাথে সার্বভৌমত্ব বিরোধী চুক্তিকরে পরাধীনতার গ্লানি গ্রহণের চেষ্টাও করেছেন মহাসমারোহে। কিন্তু এত কিছুর মাঝেও কি বিগত সরকার গুলোর মধ্যে আলোর ঝলকানির মতো কোনআশার প্রতীক আলোক রশ্মির দেখা মেলেনি ? বিবেককে নীতি ও ন্যায় বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দেখা যায় না কি ? বিরোধী মতাদর্শের পত্রিকা ওচ্যানেল অণুবীণ যন্ত্র দিয়ে ও কোন এক সরকারের কোন কোন মন্ত্রীর ২ টাকার দূর্নীতিও খুঁজে পাননি । তাহলে কি তাঁরা দূর্নীতি করতে জানতেন না ? নাকিটাকা চিনতেন না ? কি এমন কারণ ঘটেছে তাদের বেলায় ? চারদিকে যখন নিজেদের সম্পদ তৈরির জন্য দেশের কর্ণধারগণ ব্যস্ত, বিদেশী ব্যাংকে দেশী অর্থপাচার করে আন্তর্জাতিক ধনী হওয়ার প্রস্তুতি, সে সময়ও এই মন্ত্রীগণ কি নিজেদের উন্নতির কথা ভুলে গিয়েছিলেন ? কোন নেশায় বিভোর ছিলেন তাঁরা এটাওআজ খুঁজে দেখা জরুরী ।
বিজ্ঞ পাঠকের সচেতন বিবেকের কাছে আজ পর্যালোচনার জন্য বিনীত অনুরোধ, উপরোক্ত কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করে নিজের করণীয় ঠিক করারসময় এসেছে এখনই।
মিডিয়া নির্ভর ও বিদেশী সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠীর মদদে আজ যারা নীতি নৈতিকতার সমন্বয়ে গড়ে উঠা মহান আল্লাহর ওহীর বিধান অনুযায়ী দেশ পরিচালনারপ্রচেষ্টারত ইসলামী রাজনৈতিক দল গুলোকে নিশ্চিহ্ন করতে চায়, তাদের সম্পর্কে সচেতন ও সজাগ থাকার সময় এসেছে। দেশ পরিচালনায় তারা সম্পূর্ণরূপেব্যর্থ হয়েছে। স্বাধীনতার ৪০ বছরেও তারা দেশকে কিছুই দিতে পারেনি, দেশের মানুষের ভাগ্যন্নোয়নে কিছুই করতে পারেনি। উন্নত জাতি গঠনে কোনভূমিকাই রাখতে পারেনি। দারিদ্র বেকারত্ব থেকে মুক্তি দিতে পারেনি, দূর্নীতি, সন্ত্রাস থেকে জনগণকে নিরাপদ করতে পারেনি। নৈতিকতা সমৃদ্ধ শিা দিয়েনতুন প্রজন্মকে স্বপ্ন দেখাতে পারেনি। সর্বত্র চরমভাবে ব্যর্থ এসব মতাদর্শিক দলগুলো পেরেছে শুধু জনগণকে ঠকিয়ে ধোঁকা দিয়ে বিদেশী প্রভুদের সহায়তায়মতা গ্রহণ করতে। তাই আল্লাহর সৃষ্টি মানুষকে আজ চিন্তা করতে হবে। সৃষ্টিজগতের মালিক আল্লাহ তায়ালার নিয়ম অনুযায়ী তাঁর সৃষ্টিকে পরিচালিতকরতে হবে। এজন্য ওহীর বিধান দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার কোন বিকল্প পথ আর আজ সামনে নেই। এসব বললে এক শ্রেণীর টাক বুুদ্ধিজীবির মাথা ঘেমেউঠে, হায় হায় দেশ গেলো, মৌলবাদী এলো এসব জিকির তুলে রাজনীতি ও মিডিয়া অঙ্গন সরগরম করে তোলে। কোরআন সুন্নাহর আইনের কথা শুনলেই জঙ্গীমৌলবাদী বলে চিৎকার করে। স্বাধীনতার সময় দেশের অখন্ডত্ব চাওয়াকে অপরাধী গণ্য করে তাদের গাড়ীতে বাংলাদেশের পতাকা দেখলে তাদের ঘুম হারামহয়ে যায়।
এসব জ্ঞান পাপীদের কাছে আমার প্রশ্ন-
১. মুহাম্মদ (সাঃ) এর আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করা যদি অপরাধ হয় তাহলে কার্ল মার্কস, লেলিন, চেঁ গুয়েবারা এদের আদর্শ নিয়ে ৯০% মুসলমানদের দেশেকিভাবে রাজনীতি করা যায়?
২. ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা করাকে আরবীতে জেহাদ বলা হয়। এজন্য জিহাদী বই আটক এবং জেহাদ শব্দের ভীতি ছড়ানো হয়, কিন্তু বামদল গুলোরবিপ্লব ভিত্তিক বইগুলোকে কেন বিপ্লবী বই বলে আটক করা হয় না?
৩. স্বাধীনতা বিরোধী ছিল বলে কারো গাড়ীতে যদি বাংলাদেশের পতাকা ওড়ানো কলিজায় যন্ত্রণা সৃষ্টি করে, তাহলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠারবিরোধীতাকারী রবীন্দ্রনাথের রচনা সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন পড়ানো হয় ?
৪. ইসলামের নামধারী জঙ্গিদের যেভাবে পাকড়াও করা হয়, দেশের দণি পশ্চিমাঞ্চলে প্রশিণ প্রাপ্ত বাম রাজনীতির পতাকাধারী চরমপন্থীদের দমনে কি তেমনপাকড়াও বা পরিকল্পনা কেউ গ্রহণ করেছে?
৫. মুসলিম প্রধান দেশে দাঁড়ি থাকলে ডিফেন্স ও বি.সি.এস. চাকুরী হয় না কেন? দাঁড়ি রাখা কি পুরুষের অপরাধ?
এসব কোন প্রশ্নেরই উত্তর এসব অসৎ চিন্তাশীল ও বিদেশী দালালী করে চুৃল উঠা বুদ্ধিজীবিদের পে কোন দিনই সম্ভব নয়। এদের কারো কারো চরিত্রতসলিমা নাসরিন একবার প্রকাশও করে দিয়েছিলেন। যা দৈনিক মানবজমিন জমিন পত্রিকায় ধারাবাহিক ভাবে ছাপা হয়েছিল। বুদ্ধিজীবী নামধারী এসবদেশদ্রোহীরাই বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে প্রগতির নামে লিভটুগেদার এর চর্চা করে, দিনে দেশ দেশ বলে চিৎকার করে এবং রাতে নর্তকী নিয়ে নেচে গেয়ে বাংলামদ খায়। দিনে সেমিনারে সুশাসনের বক্তৃতা করে, রাতে মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহণের জন্য ঘুম হারাম করে জেগে থাকে। দাতা সংস্থার সাহায্যগুলোগলধ:করণ করে। পরিশেষে তারা গুলশান বারিধারায় আশ্রয় খুঁজে ফেরে।
তাই আজ এটা প্রমাণিত সত্য যে, নীতি নৈতিকতা ছাড়া উন্নত জাতি ও সমৃদ্ধ দেশ গঠন সম্ভব নয়, যা ইসলামী জ্ঞানহীন ব্যক্তি ও আদর্শিক দলের কার্যক্রমথেকে সহজেই প্রতীয়মান। এজন্য চিরমুক্তি ও শান্তির ল্েয প্রকৃত মুক্তির দূত মুহাম্মদ (সাঃ) এর আর্দশেই ফিরে আসতে হবে এবং প্রকৃত শান্তিদাতা মহানআল্লাহর ওহীর বিধানই দেশ পরিচারনার মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। যদি তা না করা হয় তাহলে এভাবেই শাসক বদলাবে, সরকার বদলাবে, আদর্শবদলাবে, কিন্তু জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন,কোন দিনই হবে না এবং দেশের উন্নয়নও সম্ভব নয়। এজন্য ওহীর বিধান প্রতিষ্ঠা করা আজ সময়ের দাবী।মহান আল্লাহ তায়ালা সেই জ্ঞান ও বোধ সকলকে দান করুন। আমীন।
# লেখক ও গবেষক