শুক্রবার, ৩ জুন, ২০১১

প্রবন্ধ


একটি সফল কমান্ডো
অভিযানের ব্যর্থ পরিসমাপ্তি
 মু: গোলাম মাওলা খান

/১১ আমেরিকার নিউইয়র্ক শহর, প্রতিদিনের মত সেদিনও ছিল ব্যস্ত শহর। এই ব্যস্ত শহরেই গর্বের সাথে দাঁড়িয়ে আছে ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়েরভয়াল সাী বহুতল ভবন টুইন টাওয়ার। ঘটনার কিছু পূর্ব মুহুর্তে হয়তোবা সে আচঁ করতে পারেনি যে তাকে নিয়ে ষড়যন্ত্রের জাল বোনা হয়েছে। হঠাএইইট পাথরের ভবনটির উপর আছড়ে পড়লো গোটা তিনেক বিমান। তার বুক ভেদ করে বেরিয়ে এল নতুন ইতিহাস। নির্মাণের নিমিত্তে নিহত হল তিন হাজারআর আহত হল অসংখ্য। আর নির্যাতিত হবার জন্যে প্রহর গুনতে লাগলো ভবনটি থেকে অনেক দূরে কিছু মুসলিম জনপদ। আমরা এই ধ্বংসের নিন্দা জানাই, হোক সে পরিকল্পিত বা সন্ত্রাসী হামলা। এখনো এই ধ্বংসের রহস্য চাপা পড়ে আছে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির কোন অদৃশ্য জগতে। আর এর উত্তর হয়তো কোন দিনমিলবেনা। আর এই ধ্বংসের জন্য দাবি করা হল ওসামা বিন লাদেনকে। কোন তথ্য প্রমান ছাড়াই তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হল। এই ওসামা অভিযানেরমাধ্যমে তাড়িয়েছিল। আর তাই সাম্রাজ্যবাদী যুক্তরাষ্টের এত ভয়। তখন কার আফগান শাসক তালেবানের কাছে লাদেনকে দাবি করল যুক্তরাষ্ট্র তালেবানরা হামলার সাথে জড়িত থাকার প্রমান চাইলে তারা তা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলো। তারা সে দিন প্রমান দিল না, কারন নিজের পাপ কে প্রকাশকরতে চায়, তাহলে যে নিজের নাক কেটে অপরের যাত্রা ভঙ্গের জন্য বিচারের কাঠ গড়ায় দাঁড়াতে হবে
অবশেষে, ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে হামলা হলো আফগানিস্তানে প্রাণ দিতে থাকলো মজলুম। তছনত হলো ইতিহাস ঐতিহ্যের ভূমি আফগান। আস্তে আস্তেতাদের ষড়যন্ত্রের জাল ছড়িয়ে পড়ল পাকিস্থানে। আর ষড়যন্ত্রের জালে নতুন একটু অংশ বাড়িয়ে দিতে কথিত সাজানো সফল অভিযান পরিচালিত হলপাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে। সামরিক এলাকা থেকে মাত্র দুই হাজার চারশত ফুট দূরে একটা ভূ-তুড়ে বাড়ি। যে বাড়িতে নাকি আল কায়দা খ্যাত লাদেন বাসকরত। আর পরিচালনা করত তার দল। মজার ব্যাপার  হলো সেদিনকের অভিযানে লাদেন কে তারা কোথায় পেল যে লাদেন মারা গেছেন আরো আগে।আমেরিকার রাজনীতিবিদ বুদ্ধিজীবীরা তাই মজা করে বললেন লাদেনের আবার পুর্নজন্ম হল কবে। ইরানের তথ্য  মন্ত্রী দাবি করেছেন, তাদের কাছে যথেষ্টপ্রমাণ আছে লাদেন কিডনি রোগে স্বাভাবিক মৃত্যু বরন করেছে। যাই হোক নিরস্ত্র লাদেন কে হত্যা করে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জাস্টিস হ্যাজ বিন ডান। একটিস্বাধীন দেশে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করে মানুষ হত্যা করে আবার তারা বলছে বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমেরিকাকে এই মতা কে দিল? কই কোন আদালতেলাদেন তো দোষী সাব্যস্ত হয়নি। শুধু সন্দেহ ভাজন কোন ব্যক্তিকে বিনা বিচারে হত্যা করে তার লাশ গুম করে যদি বিচার প্রতিষ্ঠা হয় তাহলে অবিচার কি? অবশেষে আমরা ধরে নিলাম সে দিনকার৩১ নেভি মিলেরকমান্ডো অভিযানে লাদেন নিহত হয়েছে এবং সফলতা একশত ভাগই আমেরিকার।
কিন্তু আবারও ষড়যন্ত্রের শিকার হল পাকিস্থান। আমেরিকানদের টার্গেট পাকাপোক্ত করতেই হয়তোবা সামরিক এলাকার কাছেই বেছে নেওয়া হল সেইবাড়িটিকে। পাথর্ক্য শুধু টুইন টাওয়ার নিউইয়র্কে আর বহুতল ভবন আরতাজাকিস্থান  প্যালেজঅ্যাবেটাবাদে দ্বি-তল ভবন। আর কোন পার্থক্য এইষড়যন্ত্রে নেই বলেই মনে হয়। আর লাদেন  কে বাড়িতে শনাক্ত করার ফলে সব দোষ পড়ল পাকিস্থানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএস আই এর ওপর। আরপশ্চিমা বাঘা বাঘা গোয়েন্দারা হয়তো এ্যাবোটাবাদকে  বাদ দিয়েছিলেন তাদের তালিকা থেকে। খুনিরা থানার পাশে বাড়ি ভাড়া নেওয়ার মতই বিগত কয়েকবছর আগে নিহত লাদেন সামরিক এলাকার নাকের ডগায় দীর্ঘ পাচঁ বছর বাস করছিলেন। সবই কেমন যেন হাস্যকর ধোঁয়াটে মনে হয়।
কিন্তু আর কত মানব সন্তান রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বলির পাঠা হলে এই সন্ত্রাসবাদ অভিযান শেষ হবে। পর্যন্ত প্রায় বিশ লাধিক মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছেসাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার হাতে। এর বিচার কে করবে, কে কমান্ডো অভিযান প্রেরণ করবে যুদ্ধপরাধী বুশের বিচারের আওতায় আনতে 
বুশ ওবামার  সন্ত্রাসী দমন অভিযানের বলির পাঠা হলো হতভাগা জনগন। জনপদের পর জনপদ তারা ধ্বংস করে চাপিয়ে দিচ্ছে তাদের নীতি। এইসাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা পৃথিবীতে  প্রথম যুদ্ধে পরাস্ত ঘটিয়েছে জাপানকে। আজ মানবতার বোবা কান্না ওদের কানে পৌঁছায়না। পৌঁছায়না ধর্ষিত বোনেরপাহাড় সমান কষ্ট। আজ মানবতা বাদীদের শান্তির পায়রা থেকে ফেলিত বোমার আঘাতে ছিন্ন-বিছিন্ন হচ্ছে কুসুম বাচ্চাদের দেহ। অনেক হৃদয় বিদারক দৃশ্যদেখা যায় আক্রান্ত জনপদ গুলোতে, যা টুইন টাওয়ার ধ্বংসের চেয়েও কয়েক হাজার গুন বেশি। এসব দৃশ্য দেখে যাদের মনুষ্যত্ব জাগ্রত আছে তাদের বিবেককেতাড়া করে ফেরে। কিন্তু পশ্চিমাদের সুরতি বিবেককে আঘাত হানতে পারেনা এসব দৃশ্য।
তাদের এই সন্ত্রাস দমন অভিযান শেষ হবে  সব মুসলিম  মারতে পারলে। দুনিয়া থেকে সংগ্রামী স্বাধীনতা কামী মানুষ গুলোকে উপযুক্ত শাস্তি দিতে পারলেইতাদের শান্তি আসবে। আজ পৃথীবিতে সাম্রাজ্যবাদী বিরোধী নেতা ফিদেল ক্যাস্ট্রে, হুগো শ্যাভেজ, আহমাদিনেজাদ তাদের চুশুল। বেঁেচ থাকলে হয়তো কার্লমাকস্র্, লেলিনও আমেরিকানদের প্রতিহত করার জন্য ব্যস্ত থাকতে হতো।
আজ সমাজের মুক্ত চিন্তার মানুষগুলো তাদের কাছে অসহনীয় তারা সবাই কে রক্তচুর ভয় দেখিয়ে পৃথিবী খ্যাত অস্ত্র প্রযুক্তি দিয়ে দাবিয়ে রাখতে চায়সত্যকে ধ্বংস করতে চায়, সত্যের বার্তা বাহকদের। কিন্তু ইতিহাস সাী দেয় তাদের শক্তিশালী পূর্বপুরুষরাও ঠিক একই কাজ করে ছিলেন। তবে তারা সফলহননি। তারা ইতিহাসের নোংরা পচাঁ গলিতে নিপ্তি হয়েছে। আর জয় হয়েছে মজলুমদের, জয় হয়েছে মানবতার, জয় হয়েছে সত্যের। কারনসত্যের জয়চিরস্থায়ী, আর মিথ্যার জয় ণস্থায়ী। অচিরেই এই সাম্রাজ্যবাদীদের ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে মজলুম বেরিয়ে আসবে। তাদের গদি হবে তছনছ। সেদিনকারসাজানো কমান্ডো অভিযান সফল হলেও তাদের মূল নীলনকশা কাগজে কলমেই থেকে যাবে আর তা ব্যর্থ হবেই হবে ইনশাআল্লাহ।
# শিার্থী, জবি

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন