মঙ্গলবার, ৮ মার্চ, ২০১১

প্রিয়তম নবী (সা) এর আদর্শ অনুসরণ : প্রকৃত স্বরূপ -মু সাকিল উদ্দিন


মহান আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীতে  মানুষ সৃষ্টি করে তাঁর বিধান দিয়েছেন দিক-নিদেশর্না হিসেবে। মানুষের মধ্য থেকেই একজনকে মনোনীত করেছেন নানা রকম সমাজ ও সম্প্রদায় থেকে। যাতে করে যে সমাজের মানুষ সে সমাজের নেতৃত্ব গ্রহণ করতে পারে এবং আল্লাহ তায়ালার ওহী ভালভাবে বুঝতে পারে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘সুস্পষ্ট গ্রন্থের শপথ আমি এটা অবতীর্ণ করেছি কোরআন রূপে, আরবী ভাষায়, যাতে করে তোমরা বুঝতে পারো। এ গ্রন্থ মহান সারগর্ভ আমার নিকট সংরতি আছে। (সূরা-৪৩,আয়াত ২-৪)আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘এ ঐশী গ্রন্থ এটি তোমার প্রতি অবতীর্ণ করেছি যাতে তুমি মানব জাতিকে তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে অন্ধকার হতে আলোতে বের করে আনতে পার। তাঁর পথে যিনি পরাক্রমশালী’। (সূরা-১৪, আয়াত -১) আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, ‘তোমরা ( দ্বীনের ব্যাপারে) ভারসাম্য বজায় রাখ এবং এর ওপর মজবুত ভাবে কায়েম থাক। আর জেনে রাখ, তোমাদের কেউ তার আমলের সাহায্যে মুক্তি পাবে না। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘বিশ্বজগতের প্রতিপালকের নিকট হতে এ গ্রন্থ অবতীর্ণ, এতে কোন সন্দেহ নেই কিন্তু ওরা বলে, এতো তার (মুহাম্মদের) নিজের রচনা। বরং এ তোমর প্রতিপালক হতে আগত সত্য’। (সূরা-৩২ আয়াত ১-৩)
এখানে আল্লাহ তায়ালা মানব জাতির জন্য পথ প্রদর্শন করেছেন কোরআন নাযিল করে। যা জীবনে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য শিক ও রহমত রূপে পাঠিয়েছেন মুহাম্মদ (সাঃ) কে। এখন নবী করিম (সাঃ) কে অনুসরণ করাই হলো আমাদের মূলকর্তব্য। আল্লাহ তায়ালার বিধান নবী (সাঃ) যেভাবে পালন করেছেন সেভাবে পালন করাই হলো সুন্নাত। আর জীবন যাপনের েেত্র নবী (সাঃ) -ই হচ্ছে সর্বোত্তম আদর্শ এবং আল্লাহ তায়ালা ছাড়া কাউকে দাতা বা অভিভাবক হিসেব গ্রহণ করা যাবে না। নবী কে যেমন তৎকালীন আরবের লোকেরা তাঁর বিশ্বস্ততায় আল আমীন উপাধি দিয়েছিল, তেমনি নবী (সাঃ) যখন লাত, মানাত উজ্জার মতো মূর্তি তথা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো উপাস্য মানার বিরোদ্ধে এক আল্লাহর একত্ববাদের দাওয়াত দিলেন তখন তারাই তাদের এই প্রিয়তম ব্যক্তিটিকে মারধর করে বেহুশ করে ছাড়লো। এই হলো ঈমান আনা এবং ঈমানের দাওয়াত দানের পরিণাম। এভাবে এক পর্যায়ে নিজের বাড়ীঘর ছেড়ে প্রিয় নবীজীকে পাহাড়ে আশ্রয় নিতে হয়েছিল। শিয়াবে আবু তালিবে তিনি আড়াই বছর কাটিয়েছেন। কতর্দূদশাগ্রস্থই  না ছিলো সেখানের সময়গুলো। এরপর সর্বশেষ নিজের জন্মভূমি, পৈতৃক ভিটা, নাড়ীর টান ছেড়ে একেবারে ভিন্ন এলাকায় হিজরতও করতে হয়েছে।
যে কোনো জায়গায় গিয়েও পৃথিবীর সর্বোত্তম মানুষের কল্যাণকামী এই মহান ব্যক্তির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি। বিশ্বাসঘাতকতা করে ইহুদীরা প্রতারণা করছে। আবার আরবের কুরাইশাও রণ সজ্জায় সজ্জিত হয়ে আক্রমণ করতে এসেছে। এসবই হয়েছে আল্লাহর বাণীকে বুলন্দ করার জন্যই। নবীর (সাঃ)  অনুসারী সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট মানুষগুলো সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) তাদের গোটা জীবনটাই নবীর সাথে কাটিয়েছেন। তারা পার্থিব সুখ, ধন সম্পদ, পিতামাতার স্নেহ ভালোবাসা সন্তানের মায়ার পিছুটান সব কিছুকে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নবীজীর (সাঃ) সাথে একেবারে হিজরতও করলেন। সুতরাং এখনো যদি আল্লাহর প্রতি ঈমান এবং রাসূলের প্রতি ঈমান আনতে হয় তাহলে সেই রকম যুলুম নির্যাতনের শিকার হতেই হবে এটাই ইসলাম বিরোধীদের আচরণ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন