মঙ্গলবার, ৮ মার্চ, ২০১১

কবিতা

আমাদের স্বাধীনতা
আবুল হোসেন আজাদ 

এইযে আমার জন্মভূমি
মায়ের মত আপন
এর বুকে তাই সুখে দুখে
আমার জীবন যাপন।
একাত্তরে অস্ত্র হাতে
নিয়েছিলাম তুলে;
করেছিলাম যুদ্ধ ন’মাস
বাঁধা ও ভয় ভুলে।
তাইতো পেলাম স্বাধীনতা
প্রিয় স্বাধীন দেশ;
চোখ জুড়ানো রূপের বাংলাদেশ
শপথ নিলাম আমার দেশের
স্বাধীনতার জন্য-
প্রয়োজনে লড়বো আবার
করবো না কার্পণ্য।
আমার দেশের স্বাধীনতা
দেবোনা ফের কারো
গড়তে এদেশ যার যা কাজে
মন দেবো যে আরো ।

অবাক প্রকৃতি
আবু জাহিদ

কি মনোরম মেদিনী তোমার গড়া
অনেকে লিখেছে গান, কবিতা, ছড়া।
রম্য গগন তোমারি সৃজন,
সকল সৃষ্টিই করে তার তর্জন
অকান্ত শৈবালিনী চলে বহমান
তারই দয়াই শশী,বানু নিত্য চলমান
পয়োধির মাঝে আছে অনেক জীবের নাশ
জলধারার গর্জনে মেতে উঠে গগন
তারই মাঝে কখনও জ্বলে উঠে পবন।
পশ্চিম গগনে অস্তিমিত যখন তপন,
এই ধরণীর সবাই সবার যেন আপন
রজনীতে উদিত হয় যখন শশী
প্রকৃতির চারু তখনি হয় বেশি।
পাহাড় পর্বতে গেটে আছে ভূমি,
বৃষ্টিতে জলধরা করে তার শিরচুমি।
সব কিছুতেই বিদ্যমান স্রষ্টার পরিচয়!
সেই স্রষ্টার পরিচয় জানেই বা কয়জন।

শাপলা ফুলের কলি
নূর মোহাম্মদ

আকাশ ভরা গ্রহ তারা,
বিশ্ব ভরা দেশ
রূপে রসে গন্ধে ভরা
মোদের বাংলাদেশ।
সকল দেশের ফলের চেয়ে
কাঁঠাল সবার বড়;
সে তো মোদের জাতীয় ফল
গর্ব সবাই করো ।
পাহাড় নদী মাঠ পেরিয়ে,
সবুজ রঙের মেলা
হরেক রকম ফুলের সুভাষ
প্রজাপতির খেলা।
ভোর-বিহানে দোয়েল পাখি
শীষ দিয়ে যায় যখন
কৃষক জেলে আপন মনে
কাজে নামে তখন।
গ্রাম বাংলা নদীর জলে
বাংলাদেশের শান
বৈঠা ভাঙ্গা পানির হাসি
মাঝির কন্ঠে গান।
এ দেশেতেই জন্ম আমায়
গর্ব করে বলি;
এ হৃদয়ে ফুটে যখন
শাপলা ফুলের কলি।

সপ্নপুরী
সাবিনা আকতার সুমা

ছোট্ট একটা দ্বীপের মাঝে আমার ছোট বাড়ি,
সুখ দু:খের দিনগুলোকে নিত্য যে দেই পাড়ি,
জল তরঙ্গের সমুদ্রটা হারায় অচিনপুরে,
মাল্লামাঝি নৌকা নিয়ে যায়যে অনেক দূরে।
কয়েকজনে পাল্লা দিয়ে দাড়ের নৌকা টানে,
কেহ আবার মনটা মাতায় হরেক সুরের গানে।
ছোট্ট্র ছেলে মনের সুখে পাতার বাশি বাজায়,
কুমার বাড়ি মাটির হাড়ি রং বেরঙ্গে সাজায়।
পানির বুকে রাজহাসেরা টেউয়ের তালে ভাসে,
ঘাসের ডগায় ভোরের শিশির মুক্তা হয়ে হাসে।
আকাশ মাঝে তপ্ত সূর্য দেখায় খুশির খেলা,
আকাশ জুড়ে নৃত্য করে কাটায় সারা বেলা।
সন্ধাবেলা সূয্যি মামা পূব আকাশে ঢলে,
তখন সবার ঘরে ঘরে সন্ধাবাতি জ্বলে।

গভীর রাতে
(মরহুম বাবার স্মরণে)
সাফা ইসলাম

গভীর রাতে মুগ্ধ করা তারা পানে চেয়ে
কষ্টে আমার অশ্র“ুধারা ঝরে দু’গাল বেয়ে।
বাবার কথা পড়লে মনে আঁধারে ঢেকে যায়
শ্রাবণের বারিধারা যেন হৃদয়কে কাঁদায়।
বাবা আমার চলে গেছেন অনেক অনেক দূরে
তাঁর স্মৃতি আগলে বুকে রাখি যতন করে।
হৃদয়ে সব ভালবাসা  শুধুই যে তাঁর তরে,
যতই দূরে থাকোনা তুমি, আছ হৃদয় ঘরে।
ছোট্ট থেকে এই অবধি বুকের গহীন কোণে
ভালবাসার ঠাই দিয়েছ নিত্য সংগোপনে।
জানি আমি, যতই দূরে থাকোনা কেন তুমি
তোমার শুভ কামনা কবরে আমায় চুমি।
তাইতো আমি প্রভূর কাছে তুলে দু’টি হাত
তোমার জন্য প্রতি রাতে চাই যে মাগফিরাত।

প্রতিজ্ঞা
রফিকুল ইসলাম

জন্ম আমার স্বাধীন দেশে
স্বাধীনভাবেই চলতে চাই
এদেশেতে নিত্য কেন
সন্ত্রাসীদের হচ্ছে ঠাই?
দিন দুপুরে মা বোনদের
করছে কত নির্যাতন
আমরা কিশোর সাধু সেজে
রইবো কেবল অচেতন?
না, না, না এ হবেনা
কিশোর  মনের  প্রতিজ্ঞা
বাহুবলে সব দূর করিব
না মানিব নিষেধাজ্ঞা
বজ্র বেগে চলবো এগে
সকল বাধাঁর অন্ত টানি
আপন হাতে মুছে দেব
অভাগাদের দু:খ গ্লানি
প্রেমের পরশ আনব দেশে
দূর করে সব অত্যাচার
হৃদয়পটে লিখে নেব
বাংলা আমার অহংকার।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন