ওহঃবৎহধঃরড়হধষ টহরড়হ ড়ভ চঁৎব ধহফ অঢ়ঢ়ষরবফ ঈযবসরংঃৎু (ওটচঅঈ) বিজ্ঞানের একটি মৌলিক শাখা রসায়নে এ পর্যন্ত অর্জিত অবদানের কথা তুলে ধরে একটি আর্ন্তজাতিক রসায়ন বর্ষ উদযাপনের প্রয়োজনীয়তা উপলদ্ধি করে। সে দিকটি চিন্তা করে ২০০৭ সালের আগষ্টে ইতালির তুরিনে অনুষ্ঠিত এক সাধারণ সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেয় ২০১১ সালকে আর্ন্তজাতিক রসায়ন বর্ষ হিসেবে পালনের, এর এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে জাতিসংঘের শিক্ষা ও বিজ্ঞান বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর নিবার্হী বোর্ড ইথিওপিয়ার প্রস্তাবনায় আর্ন্তজাতিক রসায়ন বর্ষ পালনের অনুমোদন দেয়। এরপর আনুষ্ঠানিক ভাবে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ২০১১ সালকে আর্ন্তজাতিবক রসায়ন বর্ষ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়।
রসায়ন বিদ্যা বিজ্ঞানের একটি মৌলিক ও ফলিত শাখা। পৃথিবীতে জীবনের রহস্য উদঘাঠন সহ ফার্মাসিটিকল,শিল্প-কারখানা ইত্যাদিতে রসায়নের ব্যাপক ব্যবহার তথা প্রয়োগ রয়েছে।
আমি নিজেও বিজ্ঞানের একজন ছাত্র এবং বর্তমানে শিক্ষক হওয়ায় রসায়নকে পড়া ও জানার সুযোগ আমার হয়েছে। ইন্টারমিডিয়েটে আমার কোন কোন বন্ধু বলত রসায়নে রস নেই। আমাদের রসায়নের স্যার অলোক কুমার দত্ত বলতেন, ‘ঊাবৎু বষবসবহঃ ড়ভ বাবৎু ঢ়ধৎঃ রং ভঁষষ সরংঃৎু রং পধষষবফ পযবসরংঃৎু’ তিনি রসায়ন সম্পকে আরো বলতেন, ‘যতই পড়িবে ততই ভুলিবে, না পড়িলে কিছুই শিখিবে না।’ এজন্য অনেক ছাত্রের মধ্যেই রসায়ানের ভীতি কাজ করত। আমিও যে রসায়নে খুব ভালো ছিলাম তা নয়। আমার মনে আছে রসায়ন পড়ার জন্য ১০-১২ কি.মি. সাইকেল চালিয়ে তীব্র শীতের সকালে শ্রীপুর ডিগ্রি কলেজের এক বাসায় স্যারের পড়তে যেতাম । যা হোক বিজ্ঞানের ছাত্রদের রসায়ান ভীতির একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। এর কারন অবশ্য ব্যাপক ও বিস্তৃত। এর মধ্যে অন্যতম কারণ হচ্ছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে দক্ষ শিক্ষকের অভাব। তারপর আমাদের বিদ্যালয় সর্বোপরি রসায়নে পাঠ্যক্রম। আমাদের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই রসায়ন বোঝানোর চেয়ে পাস করানোর প্রতি বিশেষ জোর দেয়া হয়ে থাকে। শিক্ষার্থীদের ভিতরেও কাজ করে কিভাবে পাস বা ভাল একটা মার্কস পেলেই হল। অবশ্য বর্তমানে মাধ্যমিক পর্যায়ে সৃজনশীল পদ্ধতি চালু হওয়াতে এ অবস্থা অনেকটাই কাটিয়ে উঠা সম্ভব হয়েছে। আর্ন্তজাতিক রসায়ন বর্ষ পালন করা হবে। ৪টি সুপরিকল্পিত লক্ষ্যকে সামনে রেখে-
১ বিশ্ব চাহিদা মোকাবেলায় রসায়নের অবদান সর্ম্পকে জন- উপলদ্ধি বাড়ানো।
২ রসায়নের প্রতি তরুণদের আগ্রহ বাড়ানো।
৩ রসায়নের সৃজনশীল ভবিষৎ সম্পর্কে সাধারণের উৎসাহ সৃষ্টি করা।
৪ মাদাম কুরির নোবেল বিজয়ের শতবর্ষ উদযাপন করা।
আজ থেকে ঠিক একশত বছর আগে ১৯১১ সালে মাদামকুরি রেডিয়াম ও পলোনিয়াম দু’টি মৌল আবিস্কারের জন্য নোবেল প্রাইজ পেয়েছিলেন তেমনি আর্ন্তজাতিক রসায়ন বর্ষ পালনের মধ্যে দিয়ে আজও উৎসাহিত করবে। এয়াড়া ওহঃবৎহধঃরড়হধষ অংংড়পরধঃরড়হ ড়ভ ঈযবসরংঃৎু ঝড়পরবঃরবং এর শততম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী হচ্ছে এই ২০১১ সালেই। সুুতরাং দেখা যাচ্ছে সব দিক বিবেচনায় ২০১১ সালটি আধুনিক রসায়নের তথা রসায়ন শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ন। আশা করা যায় এই রসায়ন বর্ষ পালনের মধ্যে দিয়ে সারা বিশ্বে রসায়ন চর্চায় এক নব দিগন্ত উম্মোচিত হবে। সাধারণ মানুষকে রসায়নের ব্যবহার ও গুরুত্ব বোঝানো এর অপব্যবহার রোধ ( যেমন এসিড সন্ত্রাস ) শিক্ষার্থীদের রসায়নকে আরো সহজ ও আকষর্নীয়ভাবে বোঝানোর সুযোগ সৃষ্টি। দেশে দেশে রসায়নের কর্র্মসংস্থান সৃষ্টি বিশ্ব সমস্যা সমাধানে রসায়নের ভূমিকা বিভিন্ন শিল্প- কারখানায় রাসানিক দ্রবাদির ব্যবহার প্রভূতির ক্ষেত্রে আর্ন্তজাতিক রসায়ন বর্ষ ২০১১ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যাচ্ছে। বিভিন্ন দেশ ইতোমধ্যে নানাবিধ কমসূচী গ্রহণ করেছে। যেমন স্কুল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় পযর্ন্ত ছাত্রদেরকে রসায়নের প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য বিভিন্ন প্রদর্শনীর আয়োজন, বিভিন্ন শিল্প কারখানা পরিদর্শন, রসায়নের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন ও আশ্চর্যজনক আবিস্কারের পোস্টার প্রদর্শনী বিভিন্ন সভা সমাবেশ আয়োজন, রসায়ন সমিতি প্রতিষ্ঠা, সংবাদ সম্মেলন ইত্যাদি। এখন আলোচ্য বিষয় হচ্ছে আমরা তৃতীয় বিশ্বের একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে এই আর্ন্তজাতিক রসায়ন বর্ষকে কীভাবে গ্রহণ করছি। কারণ ইতোপূর্বে বিজ্ঞানের এই সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমাদের দেশে খুব বেশি সাড়া পড়েছে বলে মনে হয় না। যেমন ২০১০ সাল ছিল আর্ন্তজাতিক জীব বৈচিত্র্যবর্ষ। তূর্ণমূল পযার্য় পর্যন্ত এই বর্ষটি পালন হয়েছে বা ফলপ্রসূ হয়েছে এমন কোন লক্ষণ দেখা যায় নি। বিজ্ঞানের একজন নগণ্য শিক্ষক (বা যাই বলুন) হিসেবে আর্ন্তজাতিক রসায়ন বর্ষ ২০১১ পালন করার জন্য আমার কিছু প্রস্তাবনা আছে যা নিম্নরূপ
১. সরকারি উদ্যোগে দেশীয় খ্যাতনামা রসায়নবিদদের নিয়ে আর্ন্তজাতিক রসায়ন বর্ষ ২০০১ পালনের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
২. জেলাভিত্তিক প্রতিটি স্কুল ও কলেজে অন্তত পক্ষে জেলা পর্যায়ে রসায়ন শিক্ষামেলার আয়োজন করা। এ মেলায় রসায়নের বিভিন্ন আশ্চর্য আবিষ্কার ও ডকুমেন্টারী প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের রসায়নের ছাত্রদের কাজে লাগানো যেতে পারে।
৩. ছাত্রদেরকে বিভিন্ন রাসায়নিক শিল্প-কারখানা পরিদর্শন ও রসায়নে বিভিন্ন চাকুরীর সুযোগ সম্পর্কে অবহিত করানো, যেন তারা এই সাবজেক্ট পড়তে উৎসাহী হয়।
৪. মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে রসায়নে দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষদের নিয়ে রসায়নের কারিকুলামটি ছাত্রদের জন্য আরো যুগোপযোগী ও মানসম্মত করার ব্যবস্থা করা। এবং রসায়নের আরো সহজবোধ্য টিচিং মেথড উপস্থাপন করা।
৫. এই বর্ষ পালনকারী আর্ন্তজাতিক বিভিন্ন সংস্থা, প্রতিষ্ঠান বা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে মত বিনিময় ইত্যাদি। রসায়নে অবদান রাখার জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কে পুরস্কৃত করা।
সরকারকে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে চাইলে যথোপযুক্ত বিজ্ঞান চর্চা ও বিজ্ঞানের ছাত্রদের নব নব ক্ষেত্র সৃষ্টি করে দিতে হবে। শুধু ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ায় বিজ্ঞানের ছাত্রদের জন্য যথেষ্ট নয়। বিজ্ঞানের ছাত্রদের জন্য বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আরো অনেক সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। জাতিকে বিজ্ঞানমনষ্ক করে গড়ে তুলতে হবে। বিজ্ঞানের অপব্যবহার রোধ করতে হবে। মেধাবী ছাত্রদের যর্থাথ মূল্যায়ন করতে হবে। মেধাবীরা যাতে বিজ্ঞান চর্চায় এগিয়ে আসে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষাঙ্গনকে সংর্কীণ ও লেজুরবৃত্তিক অপরাজনীতির উর্ধ্বে রাখতে হবে। শিক্ষাঙ্গন হোক বিজ্ঞান চর্চার অভয়াশ্রম।
- প্রভাষক, জীববিদ্যা
তানযীমুল উম্মাহ স্কুল ও কলেজ, ঢাকা।
রসায়ন বিদ্যা বিজ্ঞানের একটি মৌলিক ও ফলিত শাখা। পৃথিবীতে জীবনের রহস্য উদঘাঠন সহ ফার্মাসিটিকল,শিল্প-কারখানা ইত্যাদিতে রসায়নের ব্যাপক ব্যবহার তথা প্রয়োগ রয়েছে।
আমি নিজেও বিজ্ঞানের একজন ছাত্র এবং বর্তমানে শিক্ষক হওয়ায় রসায়নকে পড়া ও জানার সুযোগ আমার হয়েছে। ইন্টারমিডিয়েটে আমার কোন কোন বন্ধু বলত রসায়নে রস নেই। আমাদের রসায়নের স্যার অলোক কুমার দত্ত বলতেন, ‘ঊাবৎু বষবসবহঃ ড়ভ বাবৎু ঢ়ধৎঃ রং ভঁষষ সরংঃৎু রং পধষষবফ পযবসরংঃৎু’ তিনি রসায়ন সম্পকে আরো বলতেন, ‘যতই পড়িবে ততই ভুলিবে, না পড়িলে কিছুই শিখিবে না।’ এজন্য অনেক ছাত্রের মধ্যেই রসায়ানের ভীতি কাজ করত। আমিও যে রসায়নে খুব ভালো ছিলাম তা নয়। আমার মনে আছে রসায়ন পড়ার জন্য ১০-১২ কি.মি. সাইকেল চালিয়ে তীব্র শীতের সকালে শ্রীপুর ডিগ্রি কলেজের এক বাসায় স্যারের পড়তে যেতাম । যা হোক বিজ্ঞানের ছাত্রদের রসায়ান ভীতির একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। এর কারন অবশ্য ব্যাপক ও বিস্তৃত। এর মধ্যে অন্যতম কারণ হচ্ছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে দক্ষ শিক্ষকের অভাব। তারপর আমাদের বিদ্যালয় সর্বোপরি রসায়নে পাঠ্যক্রম। আমাদের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই রসায়ন বোঝানোর চেয়ে পাস করানোর প্রতি বিশেষ জোর দেয়া হয়ে থাকে। শিক্ষার্থীদের ভিতরেও কাজ করে কিভাবে পাস বা ভাল একটা মার্কস পেলেই হল। অবশ্য বর্তমানে মাধ্যমিক পর্যায়ে সৃজনশীল পদ্ধতি চালু হওয়াতে এ অবস্থা অনেকটাই কাটিয়ে উঠা সম্ভব হয়েছে। আর্ন্তজাতিক রসায়ন বর্ষ পালন করা হবে। ৪টি সুপরিকল্পিত লক্ষ্যকে সামনে রেখে-
১ বিশ্ব চাহিদা মোকাবেলায় রসায়নের অবদান সর্ম্পকে জন- উপলদ্ধি বাড়ানো।
২ রসায়নের প্রতি তরুণদের আগ্রহ বাড়ানো।
৩ রসায়নের সৃজনশীল ভবিষৎ সম্পর্কে সাধারণের উৎসাহ সৃষ্টি করা।
৪ মাদাম কুরির নোবেল বিজয়ের শতবর্ষ উদযাপন করা।
আজ থেকে ঠিক একশত বছর আগে ১৯১১ সালে মাদামকুরি রেডিয়াম ও পলোনিয়াম দু’টি মৌল আবিস্কারের জন্য নোবেল প্রাইজ পেয়েছিলেন তেমনি আর্ন্তজাতিক রসায়ন বর্ষ পালনের মধ্যে দিয়ে আজও উৎসাহিত করবে। এয়াড়া ওহঃবৎহধঃরড়হধষ অংংড়পরধঃরড়হ ড়ভ ঈযবসরংঃৎু ঝড়পরবঃরবং এর শততম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী হচ্ছে এই ২০১১ সালেই। সুুতরাং দেখা যাচ্ছে সব দিক বিবেচনায় ২০১১ সালটি আধুনিক রসায়নের তথা রসায়ন শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ন। আশা করা যায় এই রসায়ন বর্ষ পালনের মধ্যে দিয়ে সারা বিশ্বে রসায়ন চর্চায় এক নব দিগন্ত উম্মোচিত হবে। সাধারণ মানুষকে রসায়নের ব্যবহার ও গুরুত্ব বোঝানো এর অপব্যবহার রোধ ( যেমন এসিড সন্ত্রাস ) শিক্ষার্থীদের রসায়নকে আরো সহজ ও আকষর্নীয়ভাবে বোঝানোর সুযোগ সৃষ্টি। দেশে দেশে রসায়নের কর্র্মসংস্থান সৃষ্টি বিশ্ব সমস্যা সমাধানে রসায়নের ভূমিকা বিভিন্ন শিল্প- কারখানায় রাসানিক দ্রবাদির ব্যবহার প্রভূতির ক্ষেত্রে আর্ন্তজাতিক রসায়ন বর্ষ ২০১১ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যাচ্ছে। বিভিন্ন দেশ ইতোমধ্যে নানাবিধ কমসূচী গ্রহণ করেছে। যেমন স্কুল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় পযর্ন্ত ছাত্রদেরকে রসায়নের প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য বিভিন্ন প্রদর্শনীর আয়োজন, বিভিন্ন শিল্প কারখানা পরিদর্শন, রসায়নের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন ও আশ্চর্যজনক আবিস্কারের পোস্টার প্রদর্শনী বিভিন্ন সভা সমাবেশ আয়োজন, রসায়ন সমিতি প্রতিষ্ঠা, সংবাদ সম্মেলন ইত্যাদি। এখন আলোচ্য বিষয় হচ্ছে আমরা তৃতীয় বিশ্বের একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে এই আর্ন্তজাতিক রসায়ন বর্ষকে কীভাবে গ্রহণ করছি। কারণ ইতোপূর্বে বিজ্ঞানের এই সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমাদের দেশে খুব বেশি সাড়া পড়েছে বলে মনে হয় না। যেমন ২০১০ সাল ছিল আর্ন্তজাতিক জীব বৈচিত্র্যবর্ষ। তূর্ণমূল পযার্য় পর্যন্ত এই বর্ষটি পালন হয়েছে বা ফলপ্রসূ হয়েছে এমন কোন লক্ষণ দেখা যায় নি। বিজ্ঞানের একজন নগণ্য শিক্ষক (বা যাই বলুন) হিসেবে আর্ন্তজাতিক রসায়ন বর্ষ ২০১১ পালন করার জন্য আমার কিছু প্রস্তাবনা আছে যা নিম্নরূপ
১. সরকারি উদ্যোগে দেশীয় খ্যাতনামা রসায়নবিদদের নিয়ে আর্ন্তজাতিক রসায়ন বর্ষ ২০০১ পালনের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
২. জেলাভিত্তিক প্রতিটি স্কুল ও কলেজে অন্তত পক্ষে জেলা পর্যায়ে রসায়ন শিক্ষামেলার আয়োজন করা। এ মেলায় রসায়নের বিভিন্ন আশ্চর্য আবিষ্কার ও ডকুমেন্টারী প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের রসায়নের ছাত্রদের কাজে লাগানো যেতে পারে।
৩. ছাত্রদেরকে বিভিন্ন রাসায়নিক শিল্প-কারখানা পরিদর্শন ও রসায়নে বিভিন্ন চাকুরীর সুযোগ সম্পর্কে অবহিত করানো, যেন তারা এই সাবজেক্ট পড়তে উৎসাহী হয়।
৪. মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে রসায়নে দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষদের নিয়ে রসায়নের কারিকুলামটি ছাত্রদের জন্য আরো যুগোপযোগী ও মানসম্মত করার ব্যবস্থা করা। এবং রসায়নের আরো সহজবোধ্য টিচিং মেথড উপস্থাপন করা।
৫. এই বর্ষ পালনকারী আর্ন্তজাতিক বিভিন্ন সংস্থা, প্রতিষ্ঠান বা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে মত বিনিময় ইত্যাদি। রসায়নে অবদান রাখার জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কে পুরস্কৃত করা।
সরকারকে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে চাইলে যথোপযুক্ত বিজ্ঞান চর্চা ও বিজ্ঞানের ছাত্রদের নব নব ক্ষেত্র সৃষ্টি করে দিতে হবে। শুধু ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ায় বিজ্ঞানের ছাত্রদের জন্য যথেষ্ট নয়। বিজ্ঞানের ছাত্রদের জন্য বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আরো অনেক সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। জাতিকে বিজ্ঞানমনষ্ক করে গড়ে তুলতে হবে। বিজ্ঞানের অপব্যবহার রোধ করতে হবে। মেধাবী ছাত্রদের যর্থাথ মূল্যায়ন করতে হবে। মেধাবীরা যাতে বিজ্ঞান চর্চায় এগিয়ে আসে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষাঙ্গনকে সংর্কীণ ও লেজুরবৃত্তিক অপরাজনীতির উর্ধ্বে রাখতে হবে। শিক্ষাঙ্গন হোক বিজ্ঞান চর্চার অভয়াশ্রম।
- প্রভাষক, জীববিদ্যা
তানযীমুল উম্মাহ স্কুল ও কলেজ, ঢাকা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন