আতশবাজির মধ্যে দিয়ে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছিল বিশ্বকাপ ২০১১, তেমনি মুম্বাইতে আতশবাজির মধ্যে দিয়েই শেষ হলো। প্রত্যাশা অনুযায়ী বাংলাদেশের অর্জন তেমন না হলেও একেবারে খারাপও হয়নি। কিন্তু আমাদের মত ক্রিকেট প্রেমী কিছু সমর্থকের মনের খোরাক মেটাতে পারেনি। আমাদের প্রত্যাশা ছিল আরো অনেক বেশি। তারপরও বাংলাদেশ অসাধারণ নৈপুন্য দেখিয়েছে। উদ্ধোধনী খেলায় ভারতের কাছে ৮৭ রানে হারলেও বাংলাদেশ সে ম্যাচে করেছিল ২৮৩ রান। আয়ারল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও নেদার্যান্ডকে হারিয়ে বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার স্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু ভাগ্য তাদের সহায় হয়নি। তাইতো সমান সংখ্যক পয়েন্ট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের জায়গা দখল করে। বাংলাদেশ কিছুটা আশার আলো দেখালেও দক্ষিন আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তাদের কাছে এতো বিশাল ব্যবধানে না হারলে এই ছয় পয়েন্ট নিয়েই হয়তো কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ খেলতে পারতো। এমনটা কেউই আশা করেনি যে, দক্ষিন আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে এত বাজে খেলবে। বিশ্বকাপ হলো সবচেয়ে বড় আসর এখানে অনেক কিছু শিখার আছে। বাংলাদেশ এই শিক্ষাগুলো কাজে লাগাতে পারলে অদূর ভবিষ্যতে হয়তো সে সোনার হরিনের মুখ দেখতে পাবে। এখন আর সন্মানজনক হার নয়, নয়তো ভাল খেলা উপহার দেয়া। এখন শুধু একটাই প্রত্যয় বিশ্বকাপের সেই মুকুট ছিনিয়ে আনা। তাইতো বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হবে আগামী বিশ্বকাপ পর্যন্ত।
বিশ্বকাপের তৃতীয় সেরা ভেন্যু বাংলাদেশের
বিশ্বকাপের তৃতীয় সেরা ভেন্যুর স্বীকৃতি পেয়েছে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এই স্বীকৃতি দিয়েছে। বাংলাদেশের জন্য এটি একটি দারুন খবর বটে। আইসিসি সভাপতি সারদ পাওয়ার দক্ষিন আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার খেলা দেখার সময় এ তথ্য দেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কর্মকর্তাদের। বাংলাদেশে বিশ্বকাপ স্থানীয় আয়োজক কমিটির (এলওসি) আহবায়ক ও বিসিবি পরিচালক দেওয়ান শফিউল আরেফিন সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। দুটি কোয়ার্টার ফাইনালসহ বিশ্বকাপের আটটি ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব পায় বাংলাদেশ। যার দুটি অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রাম জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। বাকি ছয়টি ম্যাচ হয় মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে। এছাড়াও চারটি প্রস্তুতি ম্যাচ হয় ঢাকা ও চট্টগ্রামেই। ভারত, শ্রীলংকার সঙ্গে বাংলদেশ দশম বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক। বিশ্বকাপের সেরা ভেন্যুর স্বীকৃতি পেয়েছে ভারতের চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়াম এবং দ্বিতীয় সেরা হয়েছে পাঞ্জাবের মোহালি স্টেডিয়াম।
শারদ পাওয়ার আরো বলেন, আমি ঢাকার সার্বিক সুযোগ-সুবিধা দেখে অবিভূত। শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম বিশ্বমানের সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন। এ ভেন্যু বাংলাদেশের জন্য গর্বের। তিনি বাংলাদেশের দর্শকদেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এ দেশের দর্শকেরা শুধু নিজ দেশকে সমর্থন না দিয়ে ভালো পারফরম্যান্সকে হাত তালির মাধ্যমে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের এখানে আয়োজিত ৮টি ম্যাচই বিপুল পরিমান দর্শকের উপস্থিতি ঘটেছে।
এছাড়া তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামালকে নির্বিঘেœ বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য বিশেষ কৃতিত্ব প্রদান করেন। বিশ্বকাপে জঙ্গি হামলার হুমকি রয়েছে অন্য আয়োজক দেশ ভারতে। কিন্তু বাংলাদেশে এমন কিছু ঘটেনি।
এ ব্যাপারে পাওয়ার বলেন, বিশ্বকাপ আয়োজনের ক্ষেত্রে নানাবিধ আইনগত ও প্রতিরক্ষা বিষয়ক চ্যালেঞ্জ ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ এসব কিছুর উর্ধ্বে থেকে শান্তিপূর্ণভাবেই আয়োজন শেষ করেছে।
সবশেষে তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমৃদ্ধশালী এক ভবিষ্যতের আশা প্রকাশ করেন। তিনি জানান, এ বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশেই মহিলা বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব এবং ২০১৪ সালে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনেরও ঘোষনা দেন।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ খেলল বিকেএসপি ও অনুর্ধ্ব-১৯ ঃ
৪০তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিকেএসপিতে বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দলের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ খেলেছে বিকেএসপি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এ ম্যাচের আয়োজন করে। ৪৫ ওভারের এ ম্যাচে বিকেএসপি একাদশকে ৮ উইকেটে পর্যুদস্ত করে অনুর্ধ্ব-১৯।
টসে জিতে বিকেএসপি প্রথমে ব্যাট করতে নেমে জাকারিয়া মাসুদের মারাত্মক বোলিংয়ে ৩৩.৫ ওভারে মাত্র ১১৫ রানেই গুটিয়ে যায়। অনুর্ধ্ব-১৯ মাত্র ২২.৩ ওভারেই ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। অনুর্ধ্ব-১৯ দলের তাসকিন আহমেদ শুরুতেই বিকেএসপির দুই উইকেট দখল করায় ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয়।
বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের খরচ ৪৭৭ কোটি টাকা ঃ
বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সহ-আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশের খরচ হয়েছে ৪৭৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রি আহাদ আলী সরকার এ হিসাব প্রকাশ করেন। তবে সহ-আয়োজক দেশ হিসেবে এই ক্রীড়া আয়োজন থেকে বাংলাদেশ আর্থিকভাবে কী পরিমান লাভ পেয়েছে তা প্রতিমন্ত্রী জানাতে পারেনি। তিনি ব্যয়ের হিসাব দিতে পারলেও আয়ের খাতগুলো সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, বাংলাদেশে বিশ্বকাপের আট ম্যাচের আয়োজনে কী পরিমান আয় বা ব্যয় হয়েছে তা জানাতে পারবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
ব্যয়ের হিসাব দিতে গিয়ে আহাদ আলী জানান, বিশ্বকাপ উপলক্ষে যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রণালয় ৫ টি স্টেডিয়ামে সংস্কার কাজে ব্যয় করেছে ৩০৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের জন্য ৩৫ কোটি ৮ লাখ টাকা, শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের জন্য ৭৮ কোটি ৪ লাখ টাকা, চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামের জন্য ৭১ কোটি ১৪ লাখ টাকা, ফতুল্লা স্টেডিয়ামের জন্য ৬২ কোটি ৮২ লাখ টাকা ও খুলনা স্টেডিয়ামের সংস্কারে ৫৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।
এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৮৫ কোটি টাকা, জাতীয় নিরাপত্তা অধিদপ্তরের জন্য যন্ত্রপাতি ক্রয় বাবদ ১১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৫৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা, তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাজে ৫৪ লাখ টাকা এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১১ কোটি ৯১ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের খেলোয়াড়দের ব্যর্থতার কারন খুঁজে বের করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমাদের যেখানে দুর্বলতা রয়েছে, সেগুলো কাটিয়ে ওঠার যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্বকাপ আয়োজনের সফলতার পাশাপাশি অনেক অনিয়মের অভিযোগও এসেছে জানিয়ে আহাদ আলী বলেন, আয়-ব্যয়ের হিসাব, টিকেট জালিয়াতি ও কালোবাজারির অভিযোগ এবং খাদ্যে বিষক্রিয়ার মতো ঘটনাগুলো খতিয়ে দেখতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় শিগগিরই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবে।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আবারো ক্রিকেট ঃ
ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ফুটবল ও ক্রিকেট যৌথভাবে স্টেডিয়ামটি ব্যবহার করতে পারবে। তিনি আরো জানান-২০১৪ সালে বাংলাদেশ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন করবে। এ জন্য ৫ টি স্টেডিয়াম প্রস্তুত রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম এর অন্যতম। টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য রাজশাহী ও সিলেট স্টেডিয়ামেরও সংস্কার করা হবে। এছাড়া কক্সবাজার ও গোপালগঞ্জ স্টেডিয়ামের নির্মান কাজ শিগগিরই শুরু করা হবে।
বিশ্বকাপের তৃতীয় সেরা ভেন্যু বাংলাদেশের
বিশ্বকাপের তৃতীয় সেরা ভেন্যুর স্বীকৃতি পেয়েছে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এই স্বীকৃতি দিয়েছে। বাংলাদেশের জন্য এটি একটি দারুন খবর বটে। আইসিসি সভাপতি সারদ পাওয়ার দক্ষিন আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার খেলা দেখার সময় এ তথ্য দেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কর্মকর্তাদের। বাংলাদেশে বিশ্বকাপ স্থানীয় আয়োজক কমিটির (এলওসি) আহবায়ক ও বিসিবি পরিচালক দেওয়ান শফিউল আরেফিন সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। দুটি কোয়ার্টার ফাইনালসহ বিশ্বকাপের আটটি ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব পায় বাংলাদেশ। যার দুটি অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রাম জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। বাকি ছয়টি ম্যাচ হয় মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে। এছাড়াও চারটি প্রস্তুতি ম্যাচ হয় ঢাকা ও চট্টগ্রামেই। ভারত, শ্রীলংকার সঙ্গে বাংলদেশ দশম বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক। বিশ্বকাপের সেরা ভেন্যুর স্বীকৃতি পেয়েছে ভারতের চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়াম এবং দ্বিতীয় সেরা হয়েছে পাঞ্জাবের মোহালি স্টেডিয়াম।
শারদ পাওয়ার আরো বলেন, আমি ঢাকার সার্বিক সুযোগ-সুবিধা দেখে অবিভূত। শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম বিশ্বমানের সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন। এ ভেন্যু বাংলাদেশের জন্য গর্বের। তিনি বাংলাদেশের দর্শকদেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এ দেশের দর্শকেরা শুধু নিজ দেশকে সমর্থন না দিয়ে ভালো পারফরম্যান্সকে হাত তালির মাধ্যমে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের এখানে আয়োজিত ৮টি ম্যাচই বিপুল পরিমান দর্শকের উপস্থিতি ঘটেছে।
এছাড়া তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামালকে নির্বিঘেœ বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য বিশেষ কৃতিত্ব প্রদান করেন। বিশ্বকাপে জঙ্গি হামলার হুমকি রয়েছে অন্য আয়োজক দেশ ভারতে। কিন্তু বাংলাদেশে এমন কিছু ঘটেনি।
এ ব্যাপারে পাওয়ার বলেন, বিশ্বকাপ আয়োজনের ক্ষেত্রে নানাবিধ আইনগত ও প্রতিরক্ষা বিষয়ক চ্যালেঞ্জ ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ এসব কিছুর উর্ধ্বে থেকে শান্তিপূর্ণভাবেই আয়োজন শেষ করেছে।
সবশেষে তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমৃদ্ধশালী এক ভবিষ্যতের আশা প্রকাশ করেন। তিনি জানান, এ বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশেই মহিলা বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব এবং ২০১৪ সালে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনেরও ঘোষনা দেন।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ খেলল বিকেএসপি ও অনুর্ধ্ব-১৯ ঃ
৪০তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিকেএসপিতে বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দলের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ খেলেছে বিকেএসপি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এ ম্যাচের আয়োজন করে। ৪৫ ওভারের এ ম্যাচে বিকেএসপি একাদশকে ৮ উইকেটে পর্যুদস্ত করে অনুর্ধ্ব-১৯।
টসে জিতে বিকেএসপি প্রথমে ব্যাট করতে নেমে জাকারিয়া মাসুদের মারাত্মক বোলিংয়ে ৩৩.৫ ওভারে মাত্র ১১৫ রানেই গুটিয়ে যায়। অনুর্ধ্ব-১৯ মাত্র ২২.৩ ওভারেই ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। অনুর্ধ্ব-১৯ দলের তাসকিন আহমেদ শুরুতেই বিকেএসপির দুই উইকেট দখল করায় ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয়।
বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের খরচ ৪৭৭ কোটি টাকা ঃ
বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সহ-আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশের খরচ হয়েছে ৪৭৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রি আহাদ আলী সরকার এ হিসাব প্রকাশ করেন। তবে সহ-আয়োজক দেশ হিসেবে এই ক্রীড়া আয়োজন থেকে বাংলাদেশ আর্থিকভাবে কী পরিমান লাভ পেয়েছে তা প্রতিমন্ত্রী জানাতে পারেনি। তিনি ব্যয়ের হিসাব দিতে পারলেও আয়ের খাতগুলো সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, বাংলাদেশে বিশ্বকাপের আট ম্যাচের আয়োজনে কী পরিমান আয় বা ব্যয় হয়েছে তা জানাতে পারবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
ব্যয়ের হিসাব দিতে গিয়ে আহাদ আলী জানান, বিশ্বকাপ উপলক্ষে যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রণালয় ৫ টি স্টেডিয়ামে সংস্কার কাজে ব্যয় করেছে ৩০৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের জন্য ৩৫ কোটি ৮ লাখ টাকা, শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের জন্য ৭৮ কোটি ৪ লাখ টাকা, চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামের জন্য ৭১ কোটি ১৪ লাখ টাকা, ফতুল্লা স্টেডিয়ামের জন্য ৬২ কোটি ৮২ লাখ টাকা ও খুলনা স্টেডিয়ামের সংস্কারে ৫৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।
এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৮৫ কোটি টাকা, জাতীয় নিরাপত্তা অধিদপ্তরের জন্য যন্ত্রপাতি ক্রয় বাবদ ১১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৫৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা, তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাজে ৫৪ লাখ টাকা এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১১ কোটি ৯১ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের খেলোয়াড়দের ব্যর্থতার কারন খুঁজে বের করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমাদের যেখানে দুর্বলতা রয়েছে, সেগুলো কাটিয়ে ওঠার যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্বকাপ আয়োজনের সফলতার পাশাপাশি অনেক অনিয়মের অভিযোগও এসেছে জানিয়ে আহাদ আলী বলেন, আয়-ব্যয়ের হিসাব, টিকেট জালিয়াতি ও কালোবাজারির অভিযোগ এবং খাদ্যে বিষক্রিয়ার মতো ঘটনাগুলো খতিয়ে দেখতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় শিগগিরই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবে।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আবারো ক্রিকেট ঃ
ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ফুটবল ও ক্রিকেট যৌথভাবে স্টেডিয়ামটি ব্যবহার করতে পারবে। তিনি আরো জানান-২০১৪ সালে বাংলাদেশ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন করবে। এ জন্য ৫ টি স্টেডিয়াম প্রস্তুত রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম এর অন্যতম। টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য রাজশাহী ও সিলেট স্টেডিয়ামেরও সংস্কার করা হবে। এছাড়া কক্সবাজার ও গোপালগঞ্জ স্টেডিয়ামের নির্মান কাজ শিগগিরই শুরু করা হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন